প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি কয়লা কাণ্ডে গ্রেফতার করা হল বিজেপি নেতা রাজেশ ঝা বা রাজু ঝাকে। দুর্গাপুরের বাসিন্দা হলেন কয়লা ব্যবসায়ী রাজেশ ঝা। দুর্গাপুর, আসানসোলের খনি অঞ্চলে অবৈধ কয়লার কারবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত ছিলেন তিনি। বাম আমল থেকেই তার কারবার চলছিল, তৃণমূলের আমলে বাড়বাড়ন্ত, একাধিক খনির মালিক হয়েছিলেন তিনি। গতকাল তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার কয়লার কারবারি রাজু ঝা বাঁকুড়ার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। সম্প্রতি তাকে পাঠানো হয়েছে বাঁকুড়ার সংশোধনাগারে। দীর্ঘদিন ধরে দুর্গাপুর, আসানসোল খনি এলাকায় কয়লার অবৈধ কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিজেপি নেতা রাজু ঝা। বাম আমলে তার কয়লার কারবার শুরু হলেও, তৃণমূল আমলে তা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পায়।

ধীরে ধীরে এই কারবারে প্রায় একছত্র হয়ে ওঠেন তিনি। বহু খনির তিনি মালিক হন। শেষ পর্যন্ত গত ২১ সে ডিসেম্বর তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন তিনি। সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া এই নেতাকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। জানা গেছে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তার প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল। তবে এবার গ্রেপ্তারের পর সে সম্ভাবনা আর নেই বললেই চলে।

কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা সম্পর্কে সরকারি আইনজীবী অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, গত ২০০৫ সালে বাঁকুড়ার মেজিয়া থানাতে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় তার বদলে অন্য এক রাজু ঝা আদালতে এসেছিলেন। তবে, তাকে চিহ্নিত করে ফেলে আদালত। এরপর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত। বেশ কয়েকবার তাকে থানায় উপস্থিত হবার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি উপস্থিত হননি।

গতকাল তিনি বাঁকুড়ার অ্যাডিশনাল সেশন জজের (সেকেন্ড কোর্ট) কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। আদালতে তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়া হয়েছে। তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর তাকে বাঁকুড়ার সংশোধনাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।