প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কয়লা মাফিয়া বলে পরিচিত বাঁকুড়ার অনুপ মাঝি ওরফে লালার শেষ এক বছরের কল রেকর্ড অবশেষে নিজেদের হাতে পেল কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা সিবিআই। যেখানে দীর্ঘ এক বছর ধরে কাদের সঙ্গে কথোপকথন হয়েছে এই লালার, তা নিয়ে রহস্য উন্মোচন করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। স্বভাবতই ফোন কলে যদি কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তির নম্বর থাকে, তাহলে গোটা প্রক্রিয়া নতুন মোড় নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

একাংশ বলছেন, এই ফোনকলে আইপিএস থেকে শুরু করে নিচুতলার পুলিশকর্মী, রাজনৈতিক নেতা সহ একাধিক ব্যবসায়ী নম্বর থাকতে পারে। মূলত এয়ারটেল, ভোডাফোন সহ বহু সংস্থার নম্বর ব্যবহার করতেন এই অনুপ মাঝি ওরফে লালা। ইতিমধ্যেই সেই সমস্ত কল রেকর্ড পেয়ে গিয়েছেন গোয়েন্দারা। স্বাভাবিকভাবেই এখন এই নিয়ে নানা মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কয়লা পাচার কান্ডে প্রথমে আয়কর দপ্তরের পক্ষ থেকে তদন্তে নামা হয়। আর তারা যে সমস্ত তথ্য প্রমাণ বা নথি পায়, সেই সব জানতে চেয়ে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আয়কর দপ্তরে একটি চিঠি দেওয়া হয়। আর সেই ফাইল হাতে আসার পরেই নতুন করে তৎপরতা শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শনিবার সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। এদিকে সোমবার এই ব্যাপারে তৎপরতা গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যার পরে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

একাংশ বলছেন, এই অনুপ মাঝি ওরফে লালার সঙ্গে অনেক হেভিওয়েট ব্যক্তির যোগাযোগ ছিল। ফলে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে তার ফোন কল রেকর্ড সঠিকভাবে ঘাটা হলে অনেক রাঘববোয়ালের নাম বেরিয়ে আসবে। যার ফলে রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে অনেক নামিদামী ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান সমস্যার মুখে পড়ে যেতে পারে।

স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন নানা মহলে আশঙ্কার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে কী রহস্য উন্মোচন করা হয় এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে কোন কোন হেভিওয়েট জেরার মুখে পড়েন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।