এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > কৈলাশের এক মাস্টারস্ট্রোকেই হাসি মুছল তৃণমূলের? একুশের যুদ্ধের আগে হাসি ফিরছে গেরুয়া শিবিরে?

কৈলাশের এক মাস্টারস্ট্রোকেই হাসি মুছল তৃণমূলের? একুশের যুদ্ধের আগে হাসি ফিরছে গেরুয়া শিবিরে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মুকুল রায় যাকে অনেকে বলে থাকেন বাংলার রাজনীতির চাণক্য। মুকুল রায় একসময় ছিলেন তৃণমূল দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। একজন সুযোগ্য সেনাপতির দায়িত্ব পালন করে তিনি সারা রাজ্যে ঘাস ফুলের চাষ বেশ সাফল্যের সঙ্গেই করেছিলেন। কিন্তু তারপর মতভেদের কারণে তিনি তৃণমূল ত্যাগ করলেন, এলেন বিজেপিতে।

এর পর গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে একই কাবু করে দিলেন তৃণমূলকে। তাঁর ও দিলীপ ঘোষের মিলিত প্রচেষ্টায় গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন সংখ্যা ২ থেকে ১৮ তে চলে আসে। বলা যেতে পারে অভাবনীয় উত্তান ঘটে যায় বিজেপির । কিন্তু সম্প্রতি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা মুকুল রায়ের বেশকিছু মতভেদ ঘটে গেছে।

গত মাসে দিল্লিতে একটি বিজেপির বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল আগামী বিধানসভা নির্বাচনের রূপরেখা তৈরি করতে। এই বৈঠকে মুকুল রায়ের মতভেদ ঘটেছিল ঘটেছিল দিলীপ রায়ের। এরপর দূরত্ব বাড়তে থাকে তাঁদের মধ্যে উপরে দিলীপ ঘোষের কিছু তির্যক মন্তব্য মধ্যে সম্পর্কর বন্ধন আরো ঢিলে করে দেয়। যা নিয়ে যথেষ্ট আনন্দিত ছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।কিন্তু এবার তৃণমূলের এই আনন্দে বিষাদ হয়ে দাঁড়ালো বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র একটি মাস্টার স্ট্রোক। তৃণমূলের সমস্ত প্ল্যান ভেস্তে দিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এমনটাই রাজ্যের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতামত।

প্রসঙ্গত রাজনৈতিক মহলের দাবি, ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর মুকুল রায় কে দুর্বল করে দেবার জন্যে যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলেন। এ কাজে তিনি, তার টিম ও শাসকদলের বহু নেতা-কর্মী একেবারে উঠেপড়ে লেগেছিলেন। এই আবহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দূত হিসেবে রাজ্যে এলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আর রাজ্যে এসেই তিনি একটি বৈঠকের মধ্যে মাধ্যমে রাজ্য বিজেপির অন্তরের সমস্ত মতান্তর, দ্বিধা, মতভেদের আগাছা উৎপাটন করে বিজেপিকে পুনরায় বিনি সুতোর মালা গেঁথে দিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কথায় বলে, ভালো বদ্যির এক বড়ি, অসুখ সারায় তাড়াতাড়ি। আর এই কথাটাই সত্যি বলে প্রমাণ করে দিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। কৈলাস বিজয়বর্গীয়, জে পি নাড্ডা, অরবিন্দ মেননের মতো কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা প্রমুখ গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যনেতারা দিলীপ ঘোষের সল্টলেকের বাস ভবনে একটি বিশেষ বৈঠকে মিলিত হলেন । আর এখানেই দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিজ্ঞা নিলেন।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন ধরে মুকুল রায়ও দিলীপ ঘোষের দ্বন্দ্বের ফলে তৃণমূলের মুখে যে হাসি চওড়া হয়েছিল, এক লহমায় তা মিলিয়ে গেল। গত লোকসভা নির্বাচনের তৃণমূলের কাছে যে বড় ভয়ঙ্কর এ উঠেছিলেন মুকুল রায়। মুকুলের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং এর কাছে অনেকটাই হারতে হয়েছিল তৃণমূলকে।

তাই এবার দুজনের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হলে তৃণমূল  অত্যন্ত আনন্দিত ছিল, কারণ দুজনের মধ্যে বিভেদ বাঁধলে এর প্রভাব আগামী নির্বাচনের পড়ার একটা সম্ভাবনা ছিল। যার ফলে তৃণমূলের জয়লাভ সহজ হতে পারতো, কিন্তু সমস্ত কিছু এক লহমায় ভেঙে দিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

মুলরে ও দিলীপ ঘোষের পারস্পরিক বক্তব্যেও দেখা গেল তাঁদের ঐক্যের ছবি । সাংবাদিক সম্মেলনে মুকুল রায় জানলেন, দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তার বিরোধের ব্যাপারটি একেবারেই ভিত্তিহীন। এ প্রসঙ্গে তার বক্তব্য, “এটি সত্য নয়। এসবই কোনও একটা শ্রেণির রটনা। বর্তমানে করোনা সংক্রমণ মহমারীর রূপ নিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমাকে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। দিলীপদা আমাদের দলের সভাপতি। তিনি এমপি এবং একজন যোদ্ধা। আমি বিজেপির সঙ্গে আছি, কোথাও যাচ্ছি না।”

অন্যদিকে, মুকুল রায় সম্পর্কে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ” মুকুল রায়কে শংসাপত্র দেওয়ার তিনি কে ! মুকুলদা বলেছেন যে তিনি বিজেপিতে রয়েছেন এবং তিনি বিজেপিতেই থাকবেন। আমি লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত রাজ্য বিজেপি সভাপতি ছিলাম। তারপরে কোনও অভিযোগ নেই এবং আমরা বাংলায় বেশ কয়েকটি আসন জিতেছি। এর পরে আমাকে আবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি হিসাবে চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আমরা একসঙ্গেই তৃণমূলে বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!