এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নামেই কৃষকবন্ধু! প্রকৃত চাষীরা না পেয়ে টাকা যাচ্ছে সম্পন্নদের ঘরে! তৃণমূলে বাড়ছে ক্ষোভ

নামেই কৃষকবন্ধু! প্রকৃত চাষীরা না পেয়ে টাকা যাচ্ছে সম্পন্নদের ঘরে! তৃণমূলে বাড়ছে ক্ষোভ


রাজ্যের কৃষকদের জন্য সম্প্রতি “কৃষকবন্ধু” নামে একটি প্রকল্পের ঘোষনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভয়াবহ দুর্যোগে জমির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার পর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অর্থনৈতিক ভাবে কৃষকদের সাহায্য করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কৃষকদের সাহায্য করার বদলে সরকারি টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছেন জমির মালিকরা বলে নানা জায়গায় অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। আর এতেই সরকারের পক্ষ থেকে তৈরি কৃষক বন্ধু প্রকল্পের উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত, এই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের নিয়মে বলা রয়েছে, চাষিকে টাকা পেতে হলে তার নামে জমির দলিল এবং পরচা থাকতে হবে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই ঠিকা বা প্রান্তিক চাষীদের তা না থাকার জন্য তারা সরকারি প্রকল্পের টাকা পাচ্ছেন না। যার ফলে তাদের দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জমির টাকা আটকে গিয়েছে। আর এতেই তৈরি হয়েছে সমস্যা।

জানা গেছে, হাওড়ায় খাতায়-কলমে অন্যের জমিতে চাষ করেন এমন কৃষকের সংখ্যা প্রায় 50 হাজার। দুর্যোগের পর তাদের সংকটজনক অবস্থ। অনেকেই চাষ শুরু করতে পারেননি। আইনি ঘেরোয় এখন তাদের অর্থনৈতিক সাহায্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কি করবেন, তা বুঝতে পারছেন না কৃষকরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

জানা গেছে, কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আমপানের মরসুমের কিস্তি দেওয়া শুরু হয়েছে। আমপানের ফলে যেহেতু এবার বেশি ক্ষতি হয়েছে, তাই প্রাপ্য কিস্তির সঙ্গে 1000 টাকা করে বেশি দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রায় 1934 জন চাষী ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য হলেও, বাকি চাষিরা অন্যের জমিতে চাষ করায় তারা এর সুবিধা পাচ্ছে না। যার ফলে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “জমি মালিকদের অধিকাংশ নিজের জমিতে চাষ করেন না। চাষীদের জমি ঠিকায় দিয়ে দেন। সেই চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে বহুবার এই সমস্যার কথা বলেছি। প্রকল্পের সুফল প্রকৃত চাষিরা না পেলে এর উদ্দেশ্য তো ব্যর্থ হয়ে যায়। প্রয়োজনে আইন বদল করা উচিত।”

অর্থাৎ শুধুমাত্র আইনের গেরো থাকার কারণেই যে প্রকৃত চাষিরা সরকারের এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তা কার্যত পরিষ্কার। এখন সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের সাহায্য করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও, যেভাবে তা শুধুমাত্র আইনের নিয়মকানুনের জেরে বিঘ্নিত হচ্ছে, তাতে সরকারের পক্ষ থেকে সেই আইন শিথিল করা হয় কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!