কৃষক আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতে এবার বাংলার বিদ্দ্বজ্জনেদের সমাবেশ নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য January 3, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কৃষি আন্দোলন এই মুহূর্তে চরমে উঠেছে। কিছুদিন আগেই তিনটি কৃষি আইন চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এই তিনটি কৃষি আইন কৃষকদের পক্ষে অনুপযুক্ত বলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষকরা দিল্লি হরিয়ানা সিঙ্ঘু সীমান্তে বেশ কিছুদিন ধরে একটানা অবস্থান-বিক্ষোভ চালাচ্ছেন। দফায় দফায় কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও কৃষকদের দাবি এখনো পর্যন্ত মানেনি কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যদিকে কৃষি আন্দোলন নিয়ে ইতিমধ্যেই কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিরোধী দলের নেতারা। পাশাপাশি সারাদেশের বহু বিদ্বজ্জন ইতিমধ্যেই কৃষি আন্দোলনের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় সরকার এই পরিস্থিতিতে যথেষ্ট চাপের মুখে রয়েছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই হরিয়ানা পুরসভা নির্বাচনে কিন্তু খুব একটা উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেনি বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন কৃষি আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে হরিয়ানা পুরসভা নির্বাচনে। অন্যদিকে এবার কৃষি আন্দোলনের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন বাংলার বিদ্বজ্জনেদের একাংশ। রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের একাংশ তাঁদের বক্তব্য নিয়ে রবিবার ব্যারাকপুর সুকান্ত সদনে দুপুর দেড়টায় একটি সভার আয়োজন করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই সভায় বক্তা হিসেবে থাকবেন কৃষক আন্দোলনে অংশ নেওয়া কৃষক সভার নেতা হান্নান মোল্লা এবং মহম্মদ সেলিম। এছাড়াও এই সভায় বক্তব্য রাখবেন নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ওয়াসিম কাপুর, স্বপ্নময় চক্রবর্তীর মতন ব্যক্তিত্বরা। এই সভায় সভাপতিত্ব করবেন নাট্যকার চন্দন সেন। আর এই সভাতেই জানা গিয়েছে কবি শঙ্খ ঘোষ এবং নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তীর সমর্থন পত্র পাঠ করা হবে। সূত্রের খবর, কবি শঙ্খ ঘোষ তাঁর বার্তায় বলেছেন, কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গোটা দেশের কৃষকরা যে দুঃসাহসিক আন্দোলনে শামিল হয়েছেন তার পাশে রাজনৈতিক দল মত নির্বিশেষে যেন সবাই গিয়ে দাঁড়ায়। তাহলে এই আন্দোলন সফল হবে। পাশাপাশি তাঁর বিবৃতিতে আরও জানা গিয়েছে কৃষকদের এই আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি সভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন না। অন্যদিকে নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তীও বিবৃতি পাঠিয়েছেন এই সমাবেশে। তিনি জানিয়েছেন, অতিমারির সময়কে বেছে নিয়ে কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা না করে কেন্দ্রীয় সরকার তিনটি আইন পাশ করিয়েছে। সংগ্রামী কৃষক দলকে সমর্থন জানাতে বাংলার বিদ্বজ্জনদের এই সমাবেশের আয়োজন। অন্যদিকে জানা গেছে, সিঙ্ঘু সীমান্তে বিক্ষোভরত কৃষকরা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আগামী চৌঠা জানুয়ারি কৃষকদের সঙ্গে সরকারপক্ষের বৈঠক হওয়ার কথা। কিন্তু এই বৈঠকে যদি সরকার কোন সদর্থক ভূমিকা না নেয় তাহলে কৃষক আন্দোলন আরও তীব্রতর হবে। রাজ্যে কৃষক আন্দোলনকে হাতিয়ার করে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে জোরদার লড়াইয়ে নেমেছে ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদল গিয়ে বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কৃষকদের কথা হয়েছে। এই অবস্থায় বাংলার বিদ্বজ্জনেদের একাংশ যেভাবে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে সমাবেশের আয়োজন করেছেন তা কিন্তু পরোক্ষে রাজ্যে গেরুয়া শিবিরকে চাপে ফেলতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আপনার মতামত জানান -