এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কৃষক বিদ্রোহের জেরে থরথর করে কাঁপছে রাজধানী! সামাল দিতে বিশেষ বৈঠকে নাড্ডা-শাহ, বাড়ছে জল্পনা

কৃষক বিদ্রোহের জেরে থরথর করে কাঁপছে রাজধানী! সামাল দিতে বিশেষ বৈঠকে নাড্ডা-শাহ, বাড়ছে জল্পনা


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কেন্দ্রীয় সরকার এই মুহূর্তে বিপর্যস্ত কৃষক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে। দিল্লির মাটিতে এই মুহূর্তে আন্দোলন চালাচ্ছেন শয়ে শয়ে কৃষক। কোনমতেই কৃষকদের দমাতে পারছে না কেন্দ্রীয় সরকার। লাগাতার অশান্তি বিক্ষোভ চলার পরে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার কৃষকদের বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু কৃষকরা পত্রপাঠ সেই বৈঠকের আবেদন খারিজ করেছিলেনট। কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিরোধীরাও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন শুরু থেকেই। তবে কৃষকদের বিদ্রোহ কেন্দ্রীয় সরকারকে যে নাড়া দিয়েছে, সে কথা এক বাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপাতত পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে হাইপ্রোফাইল বৈঠকে বসেন জে পি নাড্ডা, অমিত শাহ প্রমুখরা। কৃষকদের শর্তসাপেক্ষে বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তীব্র বিক্ষোভ দেখিয়েছে কৃষকরা। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লি হরিয়ানা সীমান্তে চলছে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ। পাঞ্জাব, হরিয়ানায় তৈরি হওয়া কৃষক আন্দোলন ক্রমশ দেশজুড়ে কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কেন্দ্রীয় সরকার মাথা নত না করলেও কৃষক আন্দোলনের ফলে যাতে দল এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

পাশাপাশি কিভাবে কৃষক আন্দোলন বন্ধ করা যায় এবং কৃষকদের মন পাওয়া যায়, সেদিকেও নজর দিয়ে বিশেষ চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে খবর। গত শুক্রবার থেকে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে দিল্লীতে। কিন্তু কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার মঙ্গলবার দুপুর তিনটেয় যে বৈঠক ডেকেছেন, সেখানে পাঁচশো কৃষক সংগঠন আন্দোলনে যোগ দেওয়া সত্বেও মাত্র 32 টি সংগঠনকে বৈঠক ডাকা হয়েছে। আর সে কারণেই কৃষক সংগঠনগুলি একযোগে বৈঠক বয়কট করতে প্রস্তুত বলে খবর। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বৈঠকে কি কি প্রস্তাব রাখা হবে, প্রস্তাব যদি খারিজ হয়ে যায় তাহলে নতুন কি প্ল্যান হবে- এসব নিয়েই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির বাড়িতে চলছে বৈঠক।

সেখানে উপস্থিত রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। সোমবার রাতে কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ঠান্ডা এবং করোনা সংক্রমণের কথা বিবেচনা করেই কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার দিন এগিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু কৃষকেরা পাল্টা বলেছেন, করোনা কিংবা ঠান্ডার থেকেও তাঁদের সমস্যা আরও অনেক বেশি গুরুতর। পাশাপাশি কৃষকদের সমর্থনে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি কটাক্ষ করে তিনি বলেন কৃষকেরা যখন লাগাতার আন্দোলনে নেমেছেন, তখন দূরদর্শনের পর্দায় লাগাতার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানকে কটাক্ষ করে রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে কৃষকদের আন্দোলন ঠেকাতে যেভাবে মারমুখী হয়ে উঠেছে সরকার, তা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন এদিন রাহুল গান্ধী। শুক্রবার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার বার্তা দেন। কৃষকেরা সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকেন। যথারীতি তাঁর প্রস্তাবও নাকচ করে দেন কৃষকেরা। আর তাই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে রবিবার রাতেই নতুন করে একটি বৈঠক করেন বিজেপির হাইপ্রোফাইল নেতারা।

আর তারপরেই মঙ্গলবার কৃষকদের সংগে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর তরফ থেকে। সেই বৈঠক নাকচ হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল হয়ে দেখা দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে পাঞ্জাব কিষাণ সংঘর্ষ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সুখবিন্দর এস সভরান জানিয়েছেন, যেখানে পাঁচশোর বেশি কৃষক সংগঠন এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত, সেখানে মাত্র 32 টি সংগঠনকে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। সেক্ষেত্রে সকলকে আলোচনায় না ডাকা পর্যন্ত কোনো বৈঠকেই কৃষক সংগঠনগুলি যাবেনা বলে জানিয়েছেন সুখবিন্দর এস সভরান । বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃষকদের পক্ষ থেকে শর্তসাপেক্ষে আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পরেই কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চাপ বাড়ে।

আর তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে এত ঘনঘন কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠক। কৃষকদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবার একে একে দেশের বিরোধী শক্তিগুলিও। ফলস্বরূপ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কিন্তু ধীরে ধীরে কৃষি আইন নিয়ে বিরোধিতা চূড়ান্ত পর্যায়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে কৃষি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিরোধীরাও যে শক্তি বাড়াচ্ছে সে কথাও নিশ্চিত বলা যাচ্ছে। আপাতত সরকারের পক্ষ থেকে কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হবে, নাকি শর্তসাপেক্ষে কৃষি আইন মেনে নেওয়া হবে কৃষকদের পক্ষ থেকে সে দিকেই নজর সবার। আপাতত দিল্লির কৃষক আন্দোলন নজর কেড়েছে সবার।

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!