2021 Election Update: বাংলার ভাগ্য ঠিক করবে কৃষক ভোটই? জমে উঠছে তৃণমূল-বিজেপির দড়ি টানাটানি! কলকাতা তৃণমূল বর্ধমান বিজেপি রাজনীতি রাজ্য January 10, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই কেন্দ্রীয় নেতা মন্ত্রীদের ঘনঘন দেখা যাচ্ছে রাজ্যে। বঙ্গ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতারাও একযোগে বাংলার মসনদ দখলের অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠছেন বলে দাবী রাজনৈতিক মহলের। রাজ্যে কখনো আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, আবার কখনো রাজ্যে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বাদ যাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রীও। এছাড়াও ছোট, বড় নেতাদেরতো হামেশাই দেখা যাচ্ছে বাংলার বুকে। ইতিমধ্যে এই নিয়ে বহিরাগত বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। তবে তৃণমূলও এত সহজে ছেড়ে দিতে রাজি নয়। তাঁরাও বিজেপি নেতাদের ঠেকিয়ে রাখতে একের পর এক করে চলেছেন আক্রমণ। এবারও তাঁর ব্যতিক্রম হলনা। আজকেও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এসেছেন জেলা সফরে। আর তারপরে তাঁকে তীব্র আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের শীর্ষ স্থানীয় একাধিক নেতা। যথারীতি এই আক্রমণের ফলে হারিয়ে গেল বাক-সংযম। বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় এদিন জেপি নাড্ডা কে আক্রমণ করতে গিয়ে তাঁকে জোকারে পরিণত করেছেন। পাশাপাশি বিজেপিকে নীরব মোদীর দল, চোরের দল বলেও অভিহিত করেছেন। প্রসঙ্গত, নীরব মোদী বিজেপির রাজত্বকালে টাকা নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। আর তাই নিয়েই তীব্র কটাক্ষ শোনা গেছে বিরোধীদের গলায়। পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ এদিন অমিত শাহকে রীতিমতো ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন। একইভাবে প্রধানমন্ত্রীও তাঁর ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে বাদ পড়েননি। অন্যদিকে মনে করা হচ্ছে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির এদিন বঙ্গ সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বাংলার কৃষকদের মন জয় করা। দিল্লির কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে ইতিমধ্যেই কোণঠাসা কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সেই আন্দোলনের আঁচ যাতে বাংলায় না লাগে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে, সে ব্যাপারে অত্যন্ত সাবধানী পদক্ষেপ গেরুয়া শিবিরের। তবে তৃণমূল নেতারা বিজেপির এই কৃষক প্রীতি ঠেকাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তৃণমূলের অন্যতম নেত্রী তথা স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এদিন রীতিমত বিদ্রুপ করে বলেন, বাংলার কৃষকদের জন্য বিজেপি নেতারা ছুটে এলেন, কিন্তু 40 মিনিট দূরে দিল্লির কৃষকদের সঙ্গে তারা দেখা করতে যেতে পারেন না। অন্যদিকে তৃণমূলের আরেক বর্ষীয়ান সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এদিন টুইট করে দাবি করেছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের কথা ভাবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদি সে রাস্তায় যাননা। এ প্রসঙ্গে তিনি মোদি এবং মমতার কাজের একটি তুলনামূলক পরিসংখ্যান দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই কৃষকদের মন পেতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। দেশের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই রুখে দাঁড়িয়েছে দেশের প্রায় সমস্ত কৃষকরা। কৃষকদের সঙ্গে সরকারের একের পর এক বৈঠক বিফলে যাচ্ছে। এই অবস্থায় বিক্ষোভের মাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। অন্যদিকে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সর্বদলীয় প্রস্তাব আনতে চলেছেন। আর তা নিয়েই রীতিমতো চিন্তিত বঙ্গ গেরুয়া শিবির বলে মনে করা হচ্ছে। এই অবস্থায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে গেরুয়া শিবির যে কিছুটা পিছিয়ে পড়বে, সে সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল তাঁরা। আর তাই কৃষকদের পাশে পেতে তড়িঘড়ি এরাজ্যে আসা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির। আপনার মতামত জানান -