এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কৃষি আইন বাতিলে অনড় লক্ষ লক্ষ কৃষকদের জন্য ফের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

কৃষি আইন বাতিলে অনড় লক্ষ লক্ষ কৃষকদের জন্য ফের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দিল্লির রাজপথে লক্ষ লক্ষ কৃষক এই মুহূর্তে হাল্লাবোল শুরু করেছে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে। দিল্লীর মাটিতে লাখ লাখ কৃষক বসে পড়েছেন বিক্ষোভ অভিযান সফল করতে। ইতিমধ্যেই একের পর এক বৈঠক হচ্ছে কেন্দ্রীয় শিবিরের সাথে কৃষক মন্ডলীর নেতাদের। কিন্তু তাতে সুরাহা যে কিছুই হচ্ছেনা, তা এতদিনে পরিষ্কার। কৃষকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় কৃষি আইন যেহেতু কৃষকদের অনুকূল নয়, তাই তা বাতিল করতে হবে সরকারকে। কিন্তু সরকারও একরোখা মনোভাব নিয়ে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, কৃষি আইন সংশোধন হতে পারে, কিন্তু বাতিল নৈব নৈব চ।

এরই মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কৃষকদের জন্য এল বার্তা। শনিবার প্রধানমন্ত্রী জানালেন, নতুন সংস্কারমূলক আইনটি কৃষকদের কথা ভেবেই আইনে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই আইনের ফলে কৃষকরা আরো বেশি প্রযুক্তির ব্যবহার করতে পারবে এবং কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগের দরজা খুলবে। এতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। কিন্তু কৃষকরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, এভাবে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষিক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ করতে চলেছে। এবং কৃষকরা তা কোনোভাবেই হতে দেবেনা। এই মুহূর্তে সারা ভারত কৃষক সভার নেতৃত্বে দাঁড়িয়েছে দেশের বিভিন্ন কৃষক সংগঠনগুলি। তাঁদের পাশে এসেছে এই মুহূর্তে অন্যান্য সংগঠনের কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি।

কংগ্রেস ও বিজেপি বিরোধী দলগুলি একযোগে বলতে শুরু করেছে, নতুন কৃষি আইন দেশের কৃষি ক্ষেত্রে কর্পোরেট সংস্থার দাপট তৈরি করতে চলেছে। অবিলম্বে এই আইন বাতিল করতে হবে। দিল্লির মাটিতে এই মুহূর্তে প্রায় 12 লক্ষ কৃষক দিল্লির মাটিতে 17 দিন ধরে অবরোধ এবং ঘেরাও চালাচ্ছেন। আরও লক্ষাধিক কৃষক এই অভিযানে অংশ নিতে দিল্লি পৌঁছাতে চলেছেন বলে দাবি করেছেন বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই কৃষক আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকার কৃষি আইন বাতিল না করলে এবার দেশজুড়ে শুরু হবে রেল রোকো ও টোলপ্লাজা অবরোধ। ইতিমধ্যেই কৃষি আন্দোলনের ফলে হয়ে গেছে ভারত বনধ।

এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই বনধের যেভাবে প্রভাব পড়েছিল তা দেশের সরকারকে রীতিমতো চিন্তায় ফেলেছে। কৃষক বিক্ষোভের অন্যতম নেতা সারা ভারত কৃষক সভা সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, কৃষি আইন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবেনা। সিপিআইএম এবং সিপিআই এর বিভিন্ন শাখা সংগঠন কৃষকসভার নেতৃত্বে চলা কৃষি আইনের বাতিলের দাবিতে তাঁদের আন্দোলন আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। লক্ষ লক্ষ কৃষক আগামী ছয় মাস কেন্দ্রীয় সরকারকে ঘেরাও করে রাখতে ইতিমধ্যেই প্রস্তুত। আর এই আন্দোলনে পরিপ্রেক্ষিতে হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌতালা এবার এনডিএ সরকারকে দিয়েছেন কড়া বার্তা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, কৃষি আন্দোলনের অন্যতম দাবী হল ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বজায় রাখা। আর এই দাবি না মানলে হরিয়ানার বিজেপি সরকার যে পড়ে যাবে সে হুঁশিয়ারি তিনি ভালোমতন দিয়েছেন। হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌতালার পদত্যাগের হুমকি রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলেছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। এবং হরিয়ানার সরকার ঘিরে এই মুহূর্তে চলছে টালমাটাল অবস্থা। কৃষক আন্দোলনের ফলে এই মুহূর্তে দিল্লী প্রায় অবরুদ্ধ। হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব থেকে আরও লক্ষাধিক কৃষক এসে পৌঁছাতে চলেছেন এই বিদ্রোহে যোগ দিতে বলে জানা গিয়েছে। দিল্লি সংলগ্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির সরকার এই আন্দোলনের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই কোণঠাসা।

পাঞ্জাব এবং রাজস্থান কংগ্রেসের দখলে থাকায় তাঁরা এই আন্দোলনে যথাযথ সঙ্গ দিচ্ছে। হরিয়ানার জাঠ কৃষক সংগঠনগুলির এই আন্দোলনে সামিল হওয়ায় যথারীতি এই কৃষি আন্দোলনের জোর অনেক বেড়ে গেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কৃষি আইন জারি করার পর থেকেই তীব্র আপত্তি জানিয়ে আসছে দেশের বিরোধী দলগুলি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের রাশ হাতে নিয়েছে দেশের কৃষক সংগঠনগুলি। লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করা হাতগুলি এই মুহূর্তে মুষ্টিবদ্ধ হয়ে আকাশের দিকে উঠছে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে।

দেশের লক্ষ লক্ষ কৃষক প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই মুহুর্তে দাবি রেখেছেন, কৃষি আইন বাতিলের। সে জায়গায় কৃষি আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং কৃষিমন্ত্রীর বহুল যুক্তি কোনোরকম প্রভাব ফেলছে না কৃষকদের ওপর বলে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কৃষকরা এইমুহুর্তে তাঁদের লক্ষ্য স্থির করে নিয়েছে। আর কৃষকদের পাসে এবার দেশের আমজনতাকেও সামিল হতে দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় সে ছবি দেখা গেছে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কেন্দ্রীয় সরকার কি পদক্ষেপ নিতে চলেছে আগামী দিনে, সেদিকে কড়া নজর রাখবে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

https://www.youtube.com/watch?v=T3YrE7pkz_M

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!