এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কৃষি আইনের বিরোধিতায় গেরুয়া শিবিরেই ভাঙন, দল ভারী করছে তৃণমূল! গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে

কৃষি আইনের বিরোধিতায় গেরুয়া শিবিরেই ভাঙন, দল ভারী করছে তৃণমূল! গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলায় এখন রাজনৈতিক যুদ্ধের প্রস্তুতি চলছে। বিধানসভা নির্বাচনের মসনদ দখল করতে এখন যাবতীয় পরিকল্পনা সারছে রাজনৈতিক শক্তিগুলি। একে অপরকে মাত দেওয়ার জন্য শক্তিবৃদ্ধির দিকে নজর এখন শাসক ও বিরোধী উভয় শিবিরেরই। আর শক্তি বাড়াতে গিয়ে চলছে একে অপরের দুর্গে আঘাত। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল সম্প্রতি বিজেপির কৃষি বিল নিয়ে সোচ্চার হয়েছে। আর এবার কৃষি বিল নিয়েই বিজেপির অন্দরেও লাগলো ভাঙন।

সম্প্রতি গাইঘাটা পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের সমর্থনে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় বিজেপি শিবিরের পক্ষ থেকে। তার সাথেই তৃণমূলের বিরোধীতায় বিজেপি আওয়াজ তোলে। কিন্তু মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে দৃশ্যপট পুরোপুরি বদল হয়ে গেল। দু’ঘণ্টার অন্তরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন গাইঘাটার পঞ্চায়েত সদস্য দীপঙ্কর গোলদার। তাঁর কথায়, কৃষক পরিবারের সন্তান হয়ে তিনি কৃষি আইনকে কোনোভাবেই মানতে পারছেন না।

উত্তর 24 পরগনার গাইঘাটা ধর্মপুর এক নম্বর পঞ্চায়েতে গতকাল দুপুরে বিজেপির তরফ থেকে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের সমর্থনে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় এবং বিজেপি নেতৃত্ব দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে একতার বার্তা দেয়। কিন্তু ঘণ্টা দুয়েক যেতে না যেতেই গেরুয়া শিবিরের ভাঙন প্রকাশ্যে এলো। গাইঘাটা পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য ছিলেন দীপঙ্কর গোলদার। স্মারকলিপি জমা দেওয়ার দু’ঘণ্টার মধ্যে দীপঙ্কর গোলদার তৃণমূলের সদস্য পদ গ্রহণ করলেন। জানা গেছে, গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সামনেই তিনি তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন দলবদল পরে তিনি প্রকাশ্যেই বলেছেন, মোদি সরকার যে কৃষি আইন নিয়ে এসেছে তাতে সবথেকে বেশি ক্ষতি হবে কৃষকদের। তিনি নিজে একজন কৃষক পরিবারের সন্তান, তাই কৃষকদের দুর্দশা তিনি মানতে পারছিলেন না। এদিন দীপঙ্কর গোলদার আরও জানান, তিনি পুরো বিষয়টি তাঁর দলকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু দল কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি উন্নয়নের শওয়ার হতে দল পরিবর্তন করলেন। এতদিন পর্যন্ত ধর্মপুর পঞ্চায়েতে বিজেপির তিনটি আসন ছিল, যা এবার কমে হল দুটি।

নির্দল ছিল চারটি আসনে। তৃণমূলের দখলে ছিল আটটি আসন যা বেড়ে হলো নটি। অন্যদিকে এই দলবদল প্রসঙ্গে বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রকান্ত দাস জানিয়েছেন, দীপঙ্কর সম্প্রতি দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তাই বাঁচার জন্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে দলবদলের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জেলা বিজেপি নেতৃত্ব চূড়ান্ত অস্বস্তিতে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কৃষি আইন নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে দেশের সর্বত্র। আর তারই প্রকাশ হলো এদিন গাইঘাটায় বিজেপি শিবিরেই। অন্যদিকে এই ঘটনা তৃণমূল শিবিরে শক্তি সঞ্চার করল বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!