এবার দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দল ছাড়লেন বিজেপি নেতা, চাঞ্চল্য গেরুয়া শিবিরে ! জাতীয় বিজেপি রাজনীতি October 19, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি সংসদে পাস করা হয়েছে কৃষি বিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধীদের পক্ষ থেকে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করা হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে সেই কৃষি বিলের বিরোধিতা করেছিলেন পাঞ্জাবের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু তিনি এই বিরোধিতা করার পরেই তাকে পাকিস্তানি তকমা দেওয়া হয়েছিল। আর এবার দলের এই আচরণের প্রতিবাদ করেই বিজেপি ছাড়লেন সেই মালবিন্দর সিং কাং। স্বভাবতই তার এইভাবে বিজেপি ছাড়া ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে বড়সড় চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বস্তুত, এই কৃষি আইন নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করেন মালবিন্দর সিং কাং। যেখানে তিনি বলেন, “হরিয়ানা, পাঞ্জাবের প্রতিটি মানুষ এই আইন বিরোধী। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে কৃষকদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছিলাম। কিন্তু বিল পাশের সময় দলের কোর কমিটির সদস্য হিসেবে আমার কথা গ্রাহ্য করা হয়নি। এই বিল নিয়ে কথা বলতে গেলে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুগ আমাকে পাকিস্তানি তকমা দেন।” আর দলে এরকম অপমানের বিরুদ্ধে এবার দলীয় সদস্যপদ ত্যাগ করে বিজেপি ছাড়লেন সেই হেভিওয়েট নেতা। একাংশ বলছেন, এমনিতেই পাঞ্জাবে বিজেপির অতটা সমর্থক নেই। কিন্তু তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন এই মালবিন্দর সাহেব। কিন্তু এবার কৃষি আইনের বিরোধিতা করে তাকে যেভাবে পাকিস্তানি তকমা দেওয়া হল, তার বিরোধিতা সরব হয়ে তিনি বিজেপি ছাড়লেন, তাতে গেরুয়া শিবির অনেকটাই ব্যাকফুটে পড়ে গেল বলে দাবি একাংশের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু তার এই পদত্যাগ কি বিজেপিকে ব্যাকফুটে ফেলে দিল না? এদিন এই প্রসঙ্গে পাঞ্জাবের বিজেপি প্রধান অশ্বিনী শর্মা বলেন, “সকলের নিজের মতামত অনুযায়ী চলার অধিকার আছে। তবে পদত্যাগের আগে পর্যন্ত তিনি বিজেপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু ইস্তফা দেওয়ার কথা কিছু জানাননি। বিজেপিতে সবার কথা বলার অধিকার আছে। কিন্তু দল সকলের সঙ্গে একমত নাও হতে পারে।” এখন কৃষি বিলের বিরোধিতা করে পাকিস্তানি তকমা পাওয়া এই বিজেপি নেতা বিজেপি ত্যাগ করার পর কোন দলে যোগ দেন, তা অবশ্যই লক্ষণীয় বিষয় রাজনৈতিক মহলের কাছে। তবে তার এই অন্য দলে যোগদান এবং বিজেপি ত্যাগ বিজেপিকে কতটা চাপে ফেলে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -