নিহত সত্যজিৎ বিশ্বাসের কৃষ্নগঞ্জে উপনির্বাচনে কয়েক কদম এগিয়ে থেকে শুরু করছে তৃণমূল? বাড়ছে জল্পনা কলকাতা নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য March 19, 2019 আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যখন রাজ্যের 42 টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে 42 টি লোকসভা কেন্দ্রই দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস, ঠিক তখনই গত 9 ফেব্রুয়ারি নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের পর সেই আসনটি ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় লোকসভা নির্বাচনে সাথেই এই আসনে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় সেই সত্যজিৎ বিশ্বাসের ফাকা আসনটিতে শাসক দল নিজেদের প্রার্থী হিসেবে মতুয়া সংগঠনের অন্যতম নেতা প্রমথরঞ্জন বসুর নাম ঘোষণা করল। আর এখানেই অনেকে মনে করছেন, কৃষ্ণগঞ্জের বিধানসভা উপনির্বাচনে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস মতুয়া ভোটে থাবা বসাতেই প্রমথরঞ্জন বসুর মতো ব্যক্তির নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে বাজিমাত করে দিল। কিন্তু কে এই প্রমথ রঞ্জন বসু? জানা গেছে, গত 15 বছর ধরে মতুয়া মহাসঙ্ঘের নদীয়া জেলা সভাপতি এবং অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের কার্যকরী সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন প্রমথ রঞ্জন বাবু। 1993 থেকে 1998 সাল পর্যন্ত ময়ূরহাট 1 গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য থাকার পর 1998 সালের তৃণমূলে যোগদান করে সেই ময়ূরহাট 1 গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের পদটি মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় সেখানে তার স্ত্রী অনিমাদেবীকে প্রার্থী করেন তিনি। আর এরপর 2003 এবং 2008 সালে জেলাপরিষদের আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সেখানে জয়ী হতে পারেননি এই প্রমথরঞ্জন বসু। পরবর্তীতে গত 2018 সালে হাঁসখালি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সেখানে খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পাশাপাশি বর্তমানে নদীয়া জেলায় এসসি, এসটি সেলের সহ-সভাপতি পদেও রয়েছেন এই প্রমথ রঞ্জন বসু। আর এহেন দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ 67 বছর বয়সী প্রমথরঞ্জন বসুকে নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধীদের প্রথম ধাপেই অনেকটাই টেক্কা দিতে সক্ষম হল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কেননা এখনও পর্যন্ত এই কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া আর কোনো রাজনৈতিক দলই তাদের প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি। ফলে সেই দিক থেকে এখানে অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ রয়েছে তৃণমূল বলে মত একাংশের। পাশাপাশি এখানকার নিহত তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের সহানুভূতিতেও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি সাধারণ মানুষ অনেকটাই আস্থা রাখবেন বলে আত্মপ্রত্যয়ী স্থানীয় শাসক দলের নেতাকর্মীরা। এদিন এই ব্যাপারে কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী প্রমথ রঞ্জন বসু বলেন, “সত্যজিৎ এই এলাকার জনপ্রিয় বিধায়ক ছিল। তার অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করাই আমার মূল লক্ষ্য। রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় থাকলে এবং কেন্দ্রীয় সরকার গঠনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করলে ওপার বাংলা থেকে আসা কাউকে আর ফিরে যেতে হবে না। মতুয়াদের উন্নয়নের কথা একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ভাবেন। তাই এখানকার মানুষ তৃণমূলকেই ভোট দেবেন।” এদিকে তৃণমূল প্রার্থী ঘোষণা করে জোর প্রচার চালালেও এখনও এই কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি বিজেপি। এদিন এই ব্যাপারে নদিয়া দক্ষিণের বিজেপি সভাপতি জগন্নাথ সরকার বলেন, “মতুয়াদের ভোট আমাদের পক্ষেই রয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি আমাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হবে। আর এই আসনে এমন একজন প্রার্থী হবেন যিনি তৃণমূলের ভোট ভাঙতে সক্ষম হবেন।” তবে বিজেপির এই দাবি আদৌ কতটা যুক্তিযুক্ত তা সময়ই বলবে। কিন্তু নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই যেভাবে কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে মতুয়াদের অন্যতম মুগ প্রমথ রঞ্জন বসুকে প্রার্থী করে জোর প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল তাতে এখানে তারা যে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -