এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > এভাবেও ফিরে আসা যায় দেখিয়ে দিলেন কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী, কপালে ভাঁজ বিরোধীদের

এভাবেও ফিরে আসা যায় দেখিয়ে দিলেন কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী, কপালে ভাঁজ বিরোধীদের


কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী – রাজ্য-রাজনীতিতে দাপুটে রাজনীতিক হিসাবেই পরিচিত। প্রবল বাম জমানাতেও মালদার ইংরেজবাজার থেকে কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণেন্দুবাবুকে হারানোর কথা ভাবতে পারতেন না কেউ। ২০১১ সালেও কংগ্রেস-তৃণমূল জোট প্রার্থী হয়ে কংগ্রেসের টিকিটে জিতলেন তিনি, কিন্তু জোট ভাঙতেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী হলেন, উপনির্বাচনেও দল বদলে শাসকদলের টিকিটে স্বমহিমাতেই বিধানসভায় এলেন। কিন্তু এরপরেই ছন্দপতন, জেলার আরেক মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের সঙ্গে জড়িয়ে গেলেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে। আর তার খেসারত দিয়ে হারতে হল ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী নীহার রঞ্জন ঘোষের কাছে। এরপর নীহারবাবু তৃণমূলে নাম লেখাতেই ইংরেজবাজার পুরপ্রধানের পদও হারালেন। এরপর মালদার রাজনৈতিক মহলের গুঞ্জন দলের মধ্যেই কোনঠাসা তিনি, কমে গিয়েছে রাজনৈতিক গতিবিধি।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচন আসতেই সবাইকে চমকে দিয়ে স্বমহিমায় প্রত্যাবর্তন কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরীর। কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ে ভরে রয়েছে তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, কখনও তিনি জেলা পরিষদের প্রার্থীদের নিয়ে ছুটছেন মহকুমা অফিসে তো কখনো আবার পঞ্চায়েতের প্রার্থীদের সঙ্গে যাচ্ছেন ব্লক অফিসে। এমনকী, নিজস্ব কার্যালয়েই দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র পূরণেও তদারকি করছেন তিনি। যদিও তাঁর এই ‘অতি সক্রিয়তা’ দেখে তাঁর বিরোধী-গোষ্ঠীর এক নেতার কটাক্ষ, কৃষ্ণেন্দুবাবু এখন কোণঠাসা, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে ফের রাজনৈতিক ময়দানে সক্রিয় হওয়ার মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছেন তিনি! আর কৃষ্ণেন্দুবাবু নিজে কি বলছেন? তাঁর বক্তব্য, আমি মুখ্যমন্ত্রীর একজন সৈনিক, তাই আমি দলের কাজ করছি। আশা করছি মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদে এ বারও ইংরেজবাজারে বিগত বছরের মতো ফলাফল হবে।

তবে নিন্দুকেরা অবশ্য বলছেন অন্য ‘সমীকরণের’ কথা। তাঁদের মতে নীহার রঞ্জন ঘোষ তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ইংরেজবাজারের রাজনীতিতে তিনি আপাতত ব্রাত্য। না ফিরে পাবেন পৌরপ্রধানের পদ, না পাবেন ইংরেজবাজারের বিধানসভার টিকিট। ফলে আপাতত তাঁর পাখির চোখ লোকসভা ভোটে মালদার একটি আসনের টিকিট। কিন্তু সূত্রের খবর, মালদার দুটি আসনের একটিতে গনি খান পরিবারের এক সদস্য ও অন্য আসনে মালদার জেলা সভাপতির টিকিট পাওয়া প্রায় বাঁধা। এই অবস্থায় কৃষ্ণেন্দুবাবুর লোকসভার টিকিট পাওয়া প্রায় অসম্ভব। আর তাই তিনি পঞ্চায়েতেই দলনেত্রীকে ‘বার্তা’ দিতে চান, এখনো তাঁর সঙ্গে কত জনসমর্থন! আর তা অগ্রাহ্য হলে রাজ্যে প্রবল গতিতে উত্থান হতে থাকা এক বিরোধী দলও তাঁকে তাঁর এই জনসমর্থন দেখে লোকসভার টিকিট দিয়েও দিতে পারে। সবমিলিয়ে মালদার রাজনীতিতে কোনঠাসা হয়ে পড়া কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরীর এই রাজনৈতিক তৎপরতা দেখে কপালে ভাঁজ পড়েছে বিরোধী থেকে শুরু করে তাঁরই দলের বিক্ষুব্ধদেরও।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!