প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক সংসদে নতুন কৃষি বিলের প্রস্তাব আসতেই এই বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমে পড়েছে দেশের একাধিক বিরোধী দল। বিরোধী দলের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত নতুন কৃষি বিল আইনে পরিণত হলে প্রতিবছর দেশের কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে সরকার যে ফসল ক্রয় করে থাকে, সেই ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। পরিবর্তে বেসরকারি উদ্যোগপতি দের হাতে চলে যাবে ফসলের বাজার। যার ফলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকেরা বিরোধীদের আরও অভিযোগ, এই বিল আইনে পরিণত হলে দেশের বিভিন্ন এলাকার কৃষি মান্ডিগুলি গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে। দেশের বেশ কিছু স্থানে বেশকিছু কৃষক সংগঠনও এই বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে কিছুদিন আগেই বিরোধীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা খবর ছড়ানোর অভিযোগ এনেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আজ পুনর্বার তিনি কৃষি বিল নিয়ে বিরোধীদের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আনলেন। আজ নয়া কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ জানিয়ে দেশব্যাপী হরতালের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন কৃষক সংগঠনগুলি। যাদের প্রতি সমর্থন আছে বেশকিছু বিরোধীদলের। এই আবহে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষে বিজেপির দলের দলীয় কর্মীদের প্রতি বিশেষ বক্তব্য রাখার সময়ে প্রধানমন্ত্রী জানালেন যে, নয়া কৃষিবিল কখনোই কৃষকদের স্বার্থের পরিপন্থী নয়। বরং এই বিলে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি পাবে এবং সুরক্ষিত থাকবে তাদের অধিকার।

কেন্দ্রের কৃষি বিলের বিষয়ে গুজব ছড়াবার অভিযোগ জানিয়ে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, ” এর আগে যাঁরা সরকারে ক্ষমতায় ছিল, তাঁরা এমন জটিল আইন ও প্রতিশ্রুতির জাল বিছোত যে অধিকাংশ কৃষকই তা বুঝতে পারতেন না। কিন্তু বিজেপি-র নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ক্রমাগত এই পরিস্থিতি বদলে দিয়ে কৃষকদের উন্নয়নের চেষ্টা করেছে।”

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও জানালেন যে, বিগত কয়েক বছর ধরে এনডিএ সরকার কৃষকদের সরাসরি ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত করতে পেরেছে। সেই সঙ্গে তিনি জানালেন যে, প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশের মোট ১০ কোটি কৃষকের ব্যাংক একাউন্টে এক লক্ষ কোটি কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। সেইসঙ্গে কৃষকরা যাতে সহজেই ঋণ পেতে পারেন তা নিশ্চিত করতে অধিকসংখ্যক কিষান ক্রেডিট কার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

এর সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর জানালেন যে, শ্রম আইনের নতুন সংস্কার করার পরে দেশের অসংগঠিত শ্রমিকেরা ন্যূনতম মজুরির অধিকার পেতে চলেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানালেন যে, এতদিন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ন্যূনতম বেতনের স্তর ছিল ১০ হাজারটি, কিন্তু সংশোধনের ফলে তা এখন অনেকটা হ্রাস পেয়ে ২০০ তে এসে পৌঁছেছে।

বিরোধীদের অভিযুক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বললেন যে, নয়া কৃষি বিল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বিরোধীরা। কৃষকদের এই বিল বিষয়ে সমস্ত বিভ্রান্তি দূর করতে ও নতুন কৃষি বিল কিভাবে কৃষকদের অধিকার সুরক্ষিত করবে এই সমস্ত বিষয়গুলি কৃষকদের কাছে গিয়ে তাদের বোঝানোর নির্দেশ দিলেন তিনি বিজেপির দলীয় কর্মীদের কাছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আবেদন, কৃষি বিল নিয়ে কৃষকদের কাছে গিয়ে এ বিষয়ে তাদের সমস্ত বিভ্রান্তি দূর করে দিতে হবে।