এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজ্যজুড়ে কৃষিমেলা করার পথে রাজ্য সরকার

প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজ্যজুড়ে কৃষিমেলা করার পথে রাজ্য সরকার


রাজ্যে কৃষকদের নানা সমস্যার সমাধান করতে কৃষির উন্নতি কল্পে ও নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে কৃষকদের জানাতে রাজ্যজুড়ে ব্লক স্তরে কৃষি মেলার আয়োজন রাজ্য সরকারের। এক মাস ধরে চলা এই মেলায় কৃষকদের চাষের বিবর্তন, জমিতে একাধিক চাষ পদ্ধতি, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিতেই রাজ্যজুড়ে এই মেলা করছে কৃষিদপ্তর। রাজ্যের ৪৮টি মহকুমার মোট ২৮৫টি ব্লকে তিন দিন করে এই মেলা হবে। সব মিলিয়ে গোটা রাজ্যে এক মাস ধরে চলবে এই প্রক্রিয়া। এর জন্য মোট ৮ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে কৃষিদপ্তর।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,রাজ্যের কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কৃষিমেলায় কৃষিদপ্তর ছাড়াও অংশগ্রহণ করবে প্রাণিসম্পদ দপ্তর, মৎস্য দপ্তর, খাদ্য দপ্তর, কৃষি বিপণন দপ্তর, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন দপ্তর এবং সমবায় দপ্তর। এই সব দপ্তরের অফিসাররা এই মেলায় গ্রামের কৃষকদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করবেন।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষকদের মাটি সম্পর্কে সম্যক ধারণাও দেবেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কী করে ঋণ পাওয়া যায়, তার উপরেও আলোকপাত করা হবে। কোনও চাষ করতে গিয়ে এ কৃষকদের সমস্যা হলে, সে বিষয়ে বিস্তারিত শুনে তার সমাধানের পথ বাতলাবেন তাঁরা। কোনও চাষে ভাইরাস আক্রমণ হলে কী করা উচিত, তাও জানিয়ে দেবেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, সার্বিকভাবে কৃষি বিকাশের উপর জোর দিতেই ব্লকে ব্লকে ওই কৃষি মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।

আজ রবিবার বেলা ১১টায় বর্ধমানের আউসগ্রাম ১নং ব্লকে কৃষি কৃষিমন্ত্রী ডঃ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে উদ্বোধনের মাধ্যমে শুরু হতে চলেছে এই মেলার। কৃষিমন্ত্রী ছাড়াও সেখানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। তিনদিন ধরে এই মেলা চলবে। আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কৃষকদের জীবনের মানোন্নয়ন করাই আমাদের লক্ষ্য। তাঁরা নতুন করে যাতে চাষ করতে পারেন, তা শেখানো হবে। এনিয়ে নানা ধরনের সেমিনার হয়। সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।

সেখানে কৃষকরা তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। কোন পদ্ধতিতে কী চাষের জন্য কোন সার ব্যবহার করা দরকার, তা জানতে পারেন। কোন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো যায়, তাও সেমিনারে তুলে ধরবেন বিশেষজ্ঞরা।গত কয়েক বছর ধরে কৃষি উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গ প্রথম স্থানে রয়েছে। সেই স্থান শুধু অটুট থাকা নয়, গুণগত মান আরও বাড়ানোর জন্য উদ্যোগী হয়েছে সরকার।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এই মেলার উদ্দেশ্য শুধু কৃষি দপ্তর নয়, মাছ চাষ, পশুপালন বৃদ্ধি করতেই এই মেলার উদ্যোগ। আরে মেলা করার পেছনে মূল উদ্দেশ্য হল, কৃষকদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করা। কৃষিমন্ত্রী জানান, “বাম আমলের তুলনায় এখন কৃষকের আয় তিনগুণ বেড়েছে।”

জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ও অনুপ্রেরণায় কৃষি দপ্তর এক মাস ধরে ওই মেলা করবে। যা শেষ হবে মাটি উৎসবে। কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যম হল এই কৃষিমেলা। দিনভর আলোচনা, মত বিনিময়ের পর সন্ধ্যায় বাউল, লোকসঙ্গীত হবে মেলাপ্রাঙ্গণে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!