এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলে ফাটল আরও চওড়া? দলীয় অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত হেভিওয়েট বিধায়ক সহ একাধিক প্রভাবশালী নেতা!

তৃণমূলে ফাটল আরও চওড়া? দলীয় অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত হেভিওয়েট বিধায়ক সহ একাধিক প্রভাবশালী নেতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি শাসক দল তৃণমূল, তুলনায় রাজ্যে অপূর্ব উত্থান ঘটে বিজেপির। এরপর আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফলের আসায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল তলব করে আনে ভোট কুশলী পিকেকে। পিকে দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে পড়েন। তৃণমূল দলের সংগঠনকে তিনি শক্তিশালী করেছেন, দলের সদস্য সংখ্যাও বৃদ্ধি করেছেন, কিন্তু কিছুতেই রুখতে পারছেন না দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব তথা গোষ্ঠী কোন্দলকে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে অশনিসংকেত হয়ে দেখা দিচ্ছে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। উত্তর থেকে দক্ষিণে জেলাগুলিতে যা ছড়িয়ে পড়েছে। এবার জলপাইগুড়ি জেলাতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি প্রকাশ্যে চলে এলো।

প্রসঙ্গত গতকাল বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি শহরের আর্ট গ্যালারিতে জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। যে সম্মেলনে উপস্থিত থাকলেন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়, জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকলেন জেলার আরও ৫ জন তৃণমূল বিধায়ক, সেইসঙ্গে অনেক অঞ্চল সভাপতি ও গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা। এদিকে দর্শকাসনের প্রায় অর্ধেক ফাঁকা রয়ে গেল। যে কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়।

আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসকদল তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমাগত বাড়ছে। বিশেষত, একুশে জুলাই এর পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় দলের নতুন কমিটি গঠনের পর থেকে ক্রমশ বাড়ছে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। যে অন্তর্দ্বন্দ্বের ছবি দেখা গেল গতকাল জলপাইগুড়ি জেলায়। তবে, জলপাইগুড়ি জেলায় শাসকদল তৃণমূলের শক্তিশালী গড় রয়েছে। যদিও গত লোকসভা নির্বাচনে এই জেলায় পরাস্ত হয়েছে তৃণমূল বিজেপির কাছে।

তবে, গত ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলায় যথেষ্ট ভালো ফল লাভ করেছিল তৃণমূল। জেলার মোট ৭ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৬ টি আসনই তৃণমূলের দখলে চলে গিয়েছিল, একটি গিয়েছিল কংগ্রেসের হাতে। সম্প্রতি এই জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল এর ছবি সামনে চলে এলো। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জলপাইগুড়িতে তৃণমূলের জেলা কমিটির পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মেলনি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজগঞ্জের বিধায়ক ও সেইসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কমিটির চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায়। কিন্তু, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না জেলার বেশকিছু অঞ্চল সভাপতি সহ জেলার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূল নেতা নেত্রী। অনেকের অনুপস্থিতি, ফাঁকা দর্শকসন দেখে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হলেন খগেশ্বর রায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল তৃণমূলের জেলা কমিটি এই সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। গতকাল এই সম্মেলনের মূল আয়োজক ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা বর্তমানের এসজেডিএ চেয়ারম্যান বিজয় চন্দ্র বর্মন। তিনিই সকলকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ করেছিলেন। এই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রতে জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর নাম আহ্বায়ক হিসেবে লেখা ছিল। গতকালের সভায় উপস্থিত ছিলেন তিনি। বক্তব্য তিনি রাখেন। কিন্তু বহু গুরুত্বপূর্ণ নেতা নেত্রী অনুপস্থিত থাকেন।

গতকালের বিজয়া সম্মেলনের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় জানালেন যে, গতকাল একমাত্র তিনি এসেছেন। জলপাইগুড়ি জেলায় তৃণমূলের দুজন আহ্বায়ক আছেন। তিনি জানেন না, কীভাবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি জানান যে, জেলার বহু ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি উপস্থিত হননি সভাতে। যদিও তিনি গতকাল কলকাতা থেকে ফিরেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। তাঁকে বাদ দিলে বাকি বিধায়কেরা অনুষ্ঠানে কেন আসেননি, তা তিনি বুঝতে পারছেন না।

এই অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী জানালেন যে, গতকালের এই সভার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ বিজয় চন্দ্র বর্মন। তবে অনেকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন নি। তাঁর দাবি, সম্প্রতি দীপাবলি উৎসব শুরু হয়েছে। এ কারণে অনেকেই ব্যস্ত আছেন। তবে নেতারা কেন অনুপস্থিত থাকলেন, সে বিষয়ে তিনি খোঁজ নেবেন।

এভাবেই উত্তরবঙ্গের আরো একটি জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পরল। ইতিপূর্বে কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর পাওয়া গিয়েছিল। এবার সেই তালিকায় জলপাইগুড়ির নাম উঠে এলো। শাসক দলের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বারবার অস্বস্তি বাড়াচ্ছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের। এর ওপরে দলের বেশ কিছু ক্ষুব্ধ বিধায়ক মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণ করছেন দলের বিরুদ্ধে। যা আরো চাপে রেখেছে তৃণমূলকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!