এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > কু কথায় পঞ্চমুখ কণ্ঠ ভরা বিষ। প্রধানমন্ত্রীকে রামছাগলের সঙ্গে তুলনা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেত্রীর

কু কথায় পঞ্চমুখ কণ্ঠ ভরা বিষ। প্রধানমন্ত্রীকে রামছাগলের সঙ্গে তুলনা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেত্রীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এক দলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বি দলের নেতা-নেত্রীদের আক্রমণ কখনো ব্যক্তি আক্রমনের স্তরে পৌঁছে যাচ্ছে। রাজনীতিগত বিষয়কে বাদ দিয়ে দৈহিক চেহারা নিয়ে কটাক্ষ, ব্যক্তি আক্রমণ বারবার কুবাক্যে ভরে দিয়ে কুলষিত করে দিচ্ছে বাংলার রাজনীতি মহলকে। এই আবহে প্রধানমন্ত্রীকে একেবারে রাম ছাগলের সঙ্গে তুলনা করে বসলেন তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মন্ডল খাঁ।

প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর স্ত্রী সুজাতা মন্ডল খাঁ। তৃণমূলে যোগদান করেই একাধিকবার তীব্র কটাক্ষ করেছেন তিনি বিজেপিকে। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি জেলায় এক জনসভা থেকে বেনজির আক্রমণ করলেন তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তাঁকে তুলনা করলেন রাম ছাগলের সঙ্গে। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সন্ন্যাসীকাটা এলাকায় লাল স্কুল ময়দানে জনসভা করলেন তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মন্ডল খাঁ।

লালস্কুল ময়দানের এই জনসভা থেকে তিনি জানালেন, ” এবার বাংলার মানুষের ভোট কিনতে রবি ঠাকুর সাজা দরকার। রবি ঠাকুরের মেধা তো পাবে না। তাই দাড়িটাই রাখি। আমি মিল পেলাম রাম ছাগলের সঙ্গে। দাড়ি রাখলে যদি রবি ঠাকুর হওয়া যেত তাহলে রামছাগলও রবিঠাকুর হত। রবি ঠাকুর হচ্ছে সাক্ষাত্‍ মা সরস্বতীর বরপুত্র। সেখানে গুজ্জুভাই মোদিজি ভাবলেন দাড়ি রাখলেই রবি ঠাকুর হওয়া যায়। কিন্তু আপনারা তাঁর সঙ্গে কার মিল পাচ্ছেন? দর্শক বলে, রামছাগল। উত্তরটা আপনারাই দিয়ে দিলেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাঁর এই কুবাক্যর ভিডিও অল্প সময়ের মধ্যেই সোশ্যাল-মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। যদিও এর সত্যতা যাচাই করে দেখা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাবার পর এর বিরুদ্ধে পাল্টা মন্তব্য করে বিজেপি। তাঁর বক্তব্যে তীব্র শোরগোল পরে যায় রাজনীতি মহলে। প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এ ধরনের মন্তব্যে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। সুজাতা মন্ডল খাঁর মন্তব্যের এই ভিডিও নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জেলা বিজেপি শিবির।

এ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সহ সভাপতি অলক চক্রবর্তী জানালেন যে, সুজাতা খাঁ হলেন এমন একজন মানুষ, যিনি বিজেপিতে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্যই এসেছিলেন। বিজেপি যে তার অপসংস্কৃতি বুঝতে পেরেছিল, তা আজ প্রমান করে দিলেন তিনি। বিজেপি ঠাঁই দেয়নি তাঁকে। তাই এখন নতুন করে খবরের আলোয় আসার জন্য বিভিন্ন মন্তব্য করে মানুষের কাছে আসার চেষ্টা করছেন তিনি। যেভাবে সংস্কৃতিকে নষ্ট করেছেন তিনি, তাঁকে ধিক্কার জানালেন বিজেপি নেতা অলক চক্রবর্তী।

প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্য অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে। তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্যকে সমর্থন জানায়নি শাসকদলও। এ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল মুখপাত্র দুলাল দেবনাথ জানালেন যে, যারাই এমন বলে থাকুন, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন যে, ভাষা প্রয়োগের ক্ষেত্রে শালীনতাবোধ থাকা উচিত। যারাই বলুক তৃণমূল ভাষার শালীনতা মেনে চলে। এমন নির্দেশ আছে। তাঁর অভিযোগ, ভাষা সন্ত্রাস শুরু করেছে বিজেপি। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিজেপির বাংলায় প্রথম ভাষার কু-সংস্কৃতি চালু করেছে।

প্রসঙ্গত, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনীতিতে চলছে কুকথার স্রোত। যতই নির্বাচন এগিয়ে আসছে ততই মাত্রাছাড়া হতে চলেছে কুকথার ব্যবহার। যা কলুষিত করছে রাজনৈতিক মহলকে। যে দল নিজেদের বারবার বাংলার সংস্কৃতির পরাকাষ্ঠা বলে পরিচয় দেয়, সেদলের নেত্রীরই এধরণের ভাষা ব্যবহার বিস্ময়ের উদ্রেক করেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!