এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কুম্ভমেলায় আসা বহু ব্যক্তির করোনা পরীক্ষাই করা হয়নি, বিস্ফোরক অভিযোগে অস্বস্তিতে প্রশাসন

কুম্ভমেলায় আসা বহু ব্যক্তির করোনা পরীক্ষাই করা হয়নি, বিস্ফোরক অভিযোগে অস্বস্তিতে প্রশাসন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশে যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে, সে সময় কুম্ভ মেলার আয়োজন কতটা যুক্তিযুক্ত? তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন উঠেছিল। তবে নানা প্রশ্ন ওঠার পরও উত্তরাখণ্ডে কুম্ভ মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। যোগদান করেছিলেন ৭০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। করোনা পরীক্ষা করার পর মেলায় প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে কুম্ভ মেলায় যোগদানকারী ১ লক্ষেরও বেশি ব্যক্তির সঠিকভাবে করোনা পরীক্ষা পর্যন্ত করা হয়নি। ভুয়ো ফোন নম্বরে, ভুয়ো রিপোর্ট দেখিয়ে কুম্ভ মেলায় যোগদান করেছেন বহু মানুষ।

কুম্ভ মেলায় যারা যোগদান করতে এসেছিলেন তাদের করোনা পরীক্ষার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ১১ টি বেসরকারি সংস্থাকে। তার মধ্যে বেশকিছু বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে এই সংস্থাগুলি করোনার ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করেছিল। ফরিদকোটের অধিবাসী বিপিন মিত্তল স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে প্রথম এই অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনার তদন্ত শুরু হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তদন্তের রিপোর্টে জানা গেছে, ম্যাক্স কর্পোরেট সার্ভিস সংস্থার অধীনে থাকা নালওয়া ল্যাব, ডাক্তার লালচন্দানী ল্যাবে এক লক্ষধিক ভুয়ো পরীক্ষা করা হয়েছিল। এক লক্ষ ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। যে নম্বরগুলোতে রিপোর্টগুলো পাঠানো হয়েছিল সেগুলি ভুয়ো নম্বর। এক লক্ষ মানুষকে সঠিকভাবে করোনা পরীক্ষা পর্যন্ত করা হয়নি। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এই ঘটনায় প্রবল অস্বস্তি বেড়েছে সরকার ও প্রশাসনের।

এ প্রসঙ্গে হরিদ্বারের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার এস কে ঝা জানিয়েছেন যে, পরীক্ষা ছাড়াই সরকারি খাতায় নাম তোলা হয়েছিল। সমস্ত নম্বরে ফোন করে সত্য যাচাই করা হয়েছে। যা থেকে জানা গেছে এরকম অনেক ব্যক্তি আছেন, তাদের কোন পরীক্ষা না করেও তাদের মোবাইল নম্বরে ভুয়ো রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। আবার অনেক সময় একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে ৫০ জনেরও বেশী লোকের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। একটি এন্টিজেন টেস্ট কিট দিয়ে ৭০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বহু ক্ষেত্রে ভুয়ো রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে ভুয়ো ঠিকানায়।

গত ১৩ ই এপ্রিল থেকে গত ১৬ ই মে পর্যন্ত এরকম ১ লক্ষ ৪৭৯৬ টি রিপোর্ট পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ল্যাবগুলির বিরুদ্ধে করোনা বিধি লংঘন, ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করার ষড়যন্ত্র করা, বিধি ভঙ্গ করা ও একাধিক অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৬৯, ৪২০, ৪৬৮, ১২০ বি, ১৮৮ ধারায় মামলা করা হয়েছে। হরিদ্বারের জেলাশাসক সি রবিশংকর জানালেন, এই অভিযোগ আসার পর সমস্ত ল্যাবে তল্লাশি করা হয়েছে। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া রাজ্য সরকার বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট্ গঠন করেও তদন্ত করা হয়েছে।

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!