এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সুদীপ্ত সেন ও কুনাল ঘোষের চিঠি ঘিরে এবার কি নতুন মোড়ে পৌঁছে যাবে চিটফান্ড তদন্ত? নতুন নাম নিয়ে জল্পনা চরমে

সুদীপ্ত সেন ও কুনাল ঘোষের চিঠি ঘিরে এবার কি নতুন মোড়ে পৌঁছে যাবে চিটফান্ড তদন্ত? নতুন নাম নিয়ে জল্পনা চরমে


রাজ্য থেকে অনেকটা দূরে মেঘালয়ের শিলংয়ে সিবিআইয়ের দপ্তরে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার ও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুনাল ঘোষকে চিটফান্ড কাণ্ডে জেরা ঘিরে রীতিমত জল্পনার আবহে ফুটছে বঙ্গ রাজনীতি। এমনিতেই সিবিআই এই জেরা সম্পর্কে চূড়ান্ত গোপনীয়তা রক্ষা করছে – ফলে জল্পনার পরিমান বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। প্রসঙ্গত, রাজীব কুমার ছিলেন চিটফান্ড কাণ্ডে রাজ্য সরকারের গঠিত সিটের প্রধান। অন্যদিকে, কুনাল ঘোষ ছিলেন চিটফান্ড কোম্পানি সারদা গ্রূপের মিডিয়া সেকশনের প্রধান।

গত শনিবার প্রথম রাজীব কুমারকে জেরা করতে শুরু করে সিবিআই, সারাদিনে প্রায় ৯ ঘন্টা জেরার মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। অন্যদিকে, গতকাল সারাদিনে প্রায় ১২ ঘন্টার কাছাকাছি জেরা চালায় সিবিআই – এর মধ্যে অনেকটা সময়ই রাজীব কুমার ও কুনাল ঘোষকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়। এদিকে এই জেরা প্রসঙ্গেই সামনে এসেছে – সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন ও কুনাল ঘোষের সিবিআইকে লেখা দুটি চিঠির প্রসঙ্গ। প্রসঙ্গত, সারদা কাণ্ডে এর আগে গ্রেপ্তার হন কুনাল ঘোষ – তখন জেলে বসেই ৯১ পাতার একটি সুদীর্ঘ চিঠি তিনি সিবিআইকে লেখেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, সারদা কেলেঙ্কারি যখন প্রকাশ্যে এসেছিল তখন সড়ক পথে কাশ্মীরে পালিয়ে গিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন। আর তাঁর অন্তর্ধানের পূর্বে তিনিও একটি চিঠি সিবিআইয়ের উদ্দেশ্যে লিখে যান। ওই দুটি চিঠিতেই নাকি বহু প্রভাবশালী ও সারদা কেলেঙ্কারিতে সরাসরি টাকা নেওয়ার কথা লেখা আছে বলে জল্পনা। আর নতুন করে সেই নামগুলোই আবার আলোচনায় উঠে আসছে। সূত্রের খবর, ওই দুই চিঠিতে যে নামগুলি রয়েছে বা যে আর্থিক লেনদেনের কথা রয়েছে – তা বিশদে যাচাই করার পাশাপাশি রাজীব কুমার ও কুনাল ঘোষকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। আর সিবিআই চিটফান্ড তদন্ত নিয়ে যেভাবে ‘ফ্রন্টফুটে’ খেলতে শুরু করেছে – তাতে এই ঘটনা সত্যি হলে, এবার সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার পালা ওই প্রভাবশালীদের বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

আর এই দুই অতি গুরুত্বপূর্ণ চিঠির কথা প্রকাশ্যে আসতেই – শুরু হয়েছে জল্পনা, কোন কোন প্রভাবশালীকে ডাকা হতে পারে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস বারবার দাবি করে এসেছে – চিটফান্ড কেলেঙ্কারি আদতে বাম আমলে জন্ম নিয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস এসেই সেই চিটফান্ড কেলেঙ্কারি বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেয় – এমনকি অন্যতম চিটফান্ড কর্তা সুদীপ্ত সেনকে গ্রেপ্তারও করে। কিন্তু, চিটফান্ড তদন্ত যত এগিয়েছে, ততই একের পর এক শাসকদলের নেতাদের নাম জড়িয়েছে। অন্যান্য দলের কিছু নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলেও – চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে গ্রেপ্তার হয়েছেন বর্তমান শাসকদলের সাংসদ-মন্ত্রীরাই। যদিও, সেইসব গ্রেপ্তারিকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বলেই আখ্যায়িত করেছে শাসকদল – তবে দুই ‘রহস্যে’ মোড়া চিঠিতে নতুন করে কোনো প্রভাবশালীকে সিবিআই ডাকে কিনা বা কেউ গ্রেপ্তার হন কিনা সেদিকেই এখন তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!