এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > কুপন বিতর্কে অপসারিত সভাপতিকে ফিরিয়ে আনা নিয়ে দলের মধ্যেই কার্যত বিদ্রোহ

কুপন বিতর্কে অপসারিত সভাপতিকে ফিরিয়ে আনা নিয়ে দলের মধ্যেই কার্যত বিদ্রোহ

এবার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজিত শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সভাপতি পদ থেকে অপসারিত রথীন মল্লিককে। এ নিয়ে তীব্র আপত্তি জানালেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। শুধু তাই নয় দলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথের কাছে তার আপত্তির যথাযথ কারণ ব্যক্ত করেন। স্বপণবাবুই একসময় এই অনুষ্ঠানের দায়িত্ব থেকে রথীন মল্লিককে সরাবেন বলেই কথা দিয়েছিলেন রবিরঞ্জন বাবুকে। এমনটাই দাবীতে জানালেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক।

প্রসঙ্গত,২০১৭ সাল অব্দি জেলাস্তরে শিক্ষক দিবস পালিত হত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসের উদ্যোগেই। এবছর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসই দায়িত্ব নিয়েছে এ অনুষ্ঠান পালন করার। এর মধ্যে গত বছর কুপন বিতর্কে নাম জড়িয়েছিল রথীন মল্লিকের। এই ব্যাপারটি জেলার বেশ কয়েকজন নেতারা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নজরে আনলে তিনি এ ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ নেন। তাঁর নির্দেশেই কুপন বিতর্কের জেরে তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা   সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করা হয় তাকে। ফের ওই শিক্ষক নেতাকে শিক্ষক দিবস পালনের দায়িত্বভার দেওয়া হল কেন? তা নিয়ে দফায় দফায় জেলার শিক্ষকরা প্রশ্ন তুলছেন।

এ ব্যাপারে রথীনবাবু জানান,শিক্ষক দিবস অনুষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্বে তাকে আনা হয়েছে। এর প্রস্তুতি পর্বও তিনি শুরু করে দিয়েছেন বলে জানান তিনি। ১৯ আগষ্ট এ নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠকও হয়েছে বলে জানান তিনি। ওদিকে রবিরঞ্জন বাবুর প্রস্তাব ভেবে দেখার কথা জানালেন স্বপন দেবনাথ। আরো জানান,রথীন মল্লিক অন্যান্য শিক্ষকদের মতোই অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন। সংগঠনের জেলা সভাপতি তাকে করার হয়নি বলেই সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় জানান, রথীন মল্লিখ সংগঠনের কোনো উল্লেখযোগ্য পদে না থাকা সত্ত্বেও তাকে ৫ ই সেপ্টেম্বরের অনুষ্ঠানে তাকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রথীন মল্লিক এখন শহরের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় তোরণ বেঁধে অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসাবে নিজের নাম উল্লেখ করে রেখেছেন।

এই ইস্যুতে বিধায়ক রবিরঞ্জন বাবু জানান যে,রথীন মল্লিককে সভাপতি পদ থেকে সরানোর আর্জি জানানো হয়েছেন স্বপনবাবুর কাছে। তিনি সরাবেন বলে কথা দেওয়া সত্ত্বেও যদি কথার খেলাপ করেন তবে অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন না বলেই ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন এদিন। অন্যদিকে,বর্ধমান বাণীপীঠ হাইস্কুলের শিক্ষক অতনু নায়েক বলেন,অপসারিত শিক্ষক নেতাকে অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার রীতিমতো আশঙ্কায় রয়েছেন শিক্ষকমহল। খন্ডঘোষ থানার বোঁয়াই হাইস্কুলের টিচার ইনচার্জ অলোক ঘোষ, ঘটনাকে নিয়ে নিজের বিষ্ময়ের কথা প্রকাশ করলেন। ওদিকে বর্ধমান বিদ্যার্থীভবন বয়েজ হাইস্কুলের শিক্ষক পার্থপ্রতিম দেববাথ বলেন, যেকোনো অনুষ্ঠানে নাম প্রস্তাব ও সমর্থনের উপর ভিত্তি করেই সভাপতি নির্বাচন করা হয়। এখানে কুপন বিতর্কের ঘটনায় অভিযুক্ত রথীনবাবুর নাম অনুষ্ঠানের সভাপতির জায়গায় দেখে বিষ্ময় প্রকাশ করলেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!