এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কুর্শির লড়াইয়ে জিত কার ? এবার চোখ সুপ্রীমকোর্টের রায়ের দিকে

কুর্শির লড়াইয়ে জিত কার ? এবার চোখ সুপ্রীমকোর্টের রায়ের দিকে


মহারাষ্ট্রে রাতারাতি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদল ইতিমধ্যে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। দ্বিতীয় ফড়নবিশ সরকারের পতন ঘটাতে ইতিমধ্যে ত্রয়ী জোট সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। শুক্রবার রাত পর্যন্ত যেখানে ঠিক ছিল মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন উদ্ধব ঠাকরে, সেখানে সকলের অলক্ষ্যে সিদ্ধান্ত রাতারাতি পরিবর্তন হয়ে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ে যাবার আগে আইনি লড়াই লড়ছে মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলগুলি।

আস্থা ভোট নিয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট রায় দেবে বলে জানা গেছে। কিন্তু তার মধ্যেই মহারাষ্ট্রের সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে 162 জন বিধায়কের সই করা চিঠি জমা দিলেন জোট প্রতিনিধিরা রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারীকে। সূত্রের খবর, অজিত পাওয়ারকে সমর্থন করা যে 2 জন বিধায়ক ছিলেন, তাঁদের বাদ দিয়ে এনসিপির 51 জন বিধায়কই এই চিঠিতে সই দিয়েছেন।

মহারাষ্ট্র বিধানসভার ম্যাজিক সংখ্যা 145। সেক্ষেত্রে বিধানসভা নির্বাচনে 56 টি আসনে জিতলেও শিবসেনা জোটের পক্ষে 7 নির্দল বিধায়ক সমেত 63 জনের সমর্থন সমন্বিত সই জমা দিয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের পক্ষে 44 জন বিধায়ক ও এনসিপি’র 51 জন বিধায়ক চিঠিতে সই করেছেন। এর পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টির পক্ষ থেকে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস জোটকে সমর্থন করা হয়। তাঁদের দুই বিধায়ক চিঠিতে সাইন করেছেন বলে জানা গেছে। যদিও বিজেপি এখনও তাঁদের অবস্থানে অনড়। সুপ্রিম কোর্টে বিজেপি এদিনও জানায়, তাঁদের পক্ষে 170 জন বিধায়কের সমর্থন আছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর পাল্টা শিবসেনা, এনসিপি, কংগ্রেস জোট 154 জনের স্বাক্ষরসহ আদালতে এফিডেভিট জমা দেয়। বাকি আটজন তখনও এসে পৌঁছায়নি বলে আদালতে জানানো হয়। অন্যদিকে অজিত পাওয়ার ক্রমাগত বলে গেছেন শরদ পাওয়ার এবং এনসিপি দল তার সঙ্গে আছেন। এই ভ্রান্ত খবরকে মিথ্যা প্রমাণ করতে আসরে নামের স্বয়ং এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। তিনি বলেন, সকলকে অন্ধকারে রেখে শিবসেনার সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়ার চিঠিতে অজিত পাওয়ার সাইন করিয়েছিল। কিন্তু আসল সত্যি জানতে পেরে সবাই আবার ফিরে এসেছেন দলে। ইতিমধ্যেই গুরুগ্রামের একটি হোটেল থেকে এনসিপি’র বিধায়কদের মুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে বিজেপির সাথে শিবসেনার এত দ্বন্দ্ব অজিত পাওয়ারকে বিজেপি সেই মুখ্যমন্ত্রীত্বের লোভ দেখিয়ে সমর্থন আদায় করেছে। তিনি আরো বলেন, অজিত পাওয়ারকে আড়াই বছরের মুখ্যমন্ত্রীত্বের লোভ দেখিয়ে আনা হয়েছে দলে। অন্যদিকে, এনসিপি বিধায়কদের রাজ্য মন্ত্রিসভায় কুড়িটি আসনের লোভ দেখানো হয়েছে বলে জানান তিনি। লোভে পা দিয়েই এত বড় কান্ড ঘটালেন অজিত পাওয়ার বলে দাবঈ জানান তিনি।

মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলগুলির হাতে এখন একটাই অস্ত্র, আর তা হলো আস্থা ভোট। 29 শে নভেম্বর আয়োজিত আস্থাভোটে যদি বিজেপিকে হারানো যায়, তবেই মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিবর্তন আবার ঘটবে। আর তার জন্য প্রত্যেকটি দলের বিধায়ককে সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে রাজনৈতিক মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন এত আড়াল রেখে হল কেন? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে অবশ্য এখনও অপারগ মহারাষ্ট্র নেতৃত্ব। আপাতত মহারাষ্ট্রের টানটান কুরসির লড়াই কোন দিকে যেতে চলেছে, সে দিকেই এখন নজর সবার।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!