লাদাখের হাত ধরে ‘বদলে যাওয়া’ কাশ্মীরের জন্য বড়সড় উপহার মোদী-শাহের! আসছে নতুন আলোর দিশা? জাতীয় বিশেষ খবর July 25, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির মসনদে বসার পর কেন্দ্রীয় সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ ঘিরে নেন এক বড় সিদ্ধান্ত। উঠিয়ে দেওয়া হয় 356 ধারা এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে পরিগণিত হতে থাকে জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ অঞ্চল। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে অবশ্য ইতিমধ্যে বহু পর্যালোচনা হয়েছে কেন্দ্রীয় মহলে। অন্যদিকে লাদাখ নিয়ে এখনও চিন্তার ভাঁজ রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। কিছুদিন আগেই লাদাখ সীমান্ত অতিক্রম করেছিল পার্শ্ববর্তী দেশ চীন। অন্যদিকে ভারতের উত্তরের প্রতিবেশী রাজ্যগুলিও কমবেশি ভারতের দিকে অগ্রসর হবার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এবার লাদাখের পরিকল্পনামাফিক উন্নতি নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যে সোমবার লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীরের কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলগুলির ক্ষেত্রে গত এক বছর ধরে যে পদক্ষেপগুলি গৃহীত হয়েছে সেগুলি নিয়েই এবার আলোচনায় বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাথে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং সমস্ত শীর্ষ কর্তারা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার লাদাখে হতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। জানা গিয়েছে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য বিষয়ে পড়ানোর সাথে সাথেই বৌদ্ধিস্ট স্টাডি সেন্টার হিসেবেই বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচয় পাবে। তবে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং চিকিৎসাশাস্ত্র নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হবে কিনা, তা নিয়ে অবশ্য এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, লাদাখবাসীদের মন জয় করার উদ্দেশ্যে এবং তাঁদের শিক্ষার মান আরো উন্নত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিশ্ববিদ্যালয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যেহেতু লাদাখ পার্বত্য অঞ্চল, সেজন্য উচ্চশিক্ষার জন্য এই অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক দূরে যেতে হয়। তাই সব দিক খেয়াল রেখে প্রধানমন্ত্রী মোদির এই উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লাদাখবাসীদের জন্য যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন নিঃসন্দেহে তা প্রশংসনীয়। তবে শিক্ষার সাথে সাথে লাদাখবাসীরা যাতে আরো অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পায়, সেদিকেও নজর রাখা উচিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আপাতত প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ লাদাখবাসীদের কতটা সুবিধা এনে দিতে পারে, সে দিকেই এখন নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের। আপনার মতামত জানান -