এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > বিজেপি নেতার কন্যা অপহরণ কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়, গ্রেপ্তার করা হল খোদ অপহৃতার বাবাকেই!

বিজেপি নেতার কন্যা অপহরণ কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়, গ্রেপ্তার করা হল খোদ অপহৃতার বাবাকেই!


বীরভূমের লাভপুরে বিজেপি নেতা সুপ্রভাত বটব্যালের কন্যা প্রথমা ব্যাটবলের অপহরণের ঘটনায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর মোড় – যা নিয়ে রীতিমত শোরগোল পরে গেছে রাজ্য-রাজনীতিতে। প্রথমে, অপহরণের ঘটনায় স্বতঃস্ফূর্ত বনধের চেহারা নেয় অনুব্রত-গড় বলে খ্যাত লাভপুর। পরে স্থানীয় বিধায়ক তথা লাভপুরের ‘শাহেনশা’ মনিরুল ইসলামকে সাধারণ জনগণ তাড়া করলে থানায় গিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন তিনি। অপহরণের তিনদিন পরে অপহৃতা তরুণীকে ডালখোলা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

কিন্তু, তারপরেই নতুন চাঞ্চল্যকর ঘটনার স্রোতে রীতিমত হতচকিত রাজ্যবাসী। নিজের কন্যার অভিযোগের অভিযোগে বিজেপি নেতা সুপ্রভাত বটব্যালকেই গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ডালখোলা থেকে অপহৃতা তরুণীকে উদ্ধারের পাশাপাশি দুই যুবককেও গ্রেপ্তার করা হয়। আর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রেই, অপহৃতা তরুণীর বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশি সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া দুই যুবক সুপ্রভাতবাবুর পূর্ব-পরিচিত। ঘটনার আগের দিন ওই দুই যুবকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে এই অপহরণের ‘নাটক’ রচনা করা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সুপ্রভাতবাবু আগে বামফ্রন্ট করতেন – পরবর্তীকালে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর উপরে বহু মামলার চাপ ছিল, সেই চাপ কাটাতে ও রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই তাঁর পূর্ব-পরিচিত দার্জিলিংয়ের নকশালবাড়ির বাসিন্দা দুই যুবককে দিয়ে পরিকল্পনা করিয়ে এই ‘অপহরণ’ সংঘটিত করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে। সুপ্রভাতবাবুর পরিকল্পনা মতোই নাকি কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে অপহরণ করা হয় এবং তাঁর কন্যা সেই সময় সেভাবে কোনও বাধাও দেন নি। তবে, অপহৃতা তরুণী আপাতত নিদ্রাচ্ছন্ন থাকায়, তাঁকে সেভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায় নি বলেই জানা গেছে।

তবে, এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক রঙ দেখছেন অনেকেই। এই ঘটনায়, এলাকার স্থানীয় অধিবাসীরা এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন যে গত দুদিন ধরে লাভপুর ছিল কার্যত অগ্নিগর্ভ। এমনকি দাপুটে শাসকদলের নেতা ও স্থানীয় বিধায়ক মনিরুল ইসলামকে পর্যন্ত তাড়া করেন স্থানীয় মানুষরা। তাড়া খেয়ে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয় তাঁকে – আর সেই ঘটনার পরেই ১১ জন বিজেপি কর্মীকে অশান্তি পাকাবার দায়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু, মনিরুল ইসলামের মত দাপুটে নেতাকে জনতার তাড়া করা যে ভালোভাবে নেয় নি প্রশাসন, আর তাই পাল্টা তরুণীর বাবাকেই গ্রেপ্তার করা হল – লাভপুরের আনাচে-কানাচে এখন এরকমই গুঞ্জন। যদিও, গ্রেপ্তারি ও ‘চিহ্নিত’ হয়ে যাওয়ার ভয়ে কেউই প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি নন। তবে, সবারই একটাই কথা – সত্যিটা সামনে আসুক!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!