প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একবার নয়, বারবার লক্ষ্য করা যাচ্ছে ভারতীয় সীমান্তে চিনা আগ্রাসনের ঘটনা। তবে ভারতীয় সেনা বাহিনীর তৎপরতায় খালি হাতেই ফিরে যেতে হচ্ছে চিনা সৈন্যবাহিনীকে। প্রসঙ্গত, গত 15 জুন গালওয়ান সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করতে যায় চীনা সৈন্যবাহিনী। সেসময় ভারতীয় জওয়ানদের সঙ্গে তাঁদের হাতাহাতিও হয়। ভারতীয় সেনারা নিজেদের জীবন বাজি রেখে চীনা সৈন্যদের ফেরত পাঠায় নিজেদের জায়গায়। এই ঘটনায় প্রায় কুড়ি জন ভারতীয় সেনা জওয়ান শহীদ হন। চীনের বিরুদ্ধে সে সময় থেকেই রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছে ভারতবাসীরা।

একই সঙ্গে ভারত সরকারও চীনকে জবাব দেওয়ার জন্যও তৈরি হতে থাকে। ইতিমধ্যেই চীনকে অর্থনৈতিক দিক থেকে কোণঠাসা করার সব রকম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে। আর এবার জানা যাচ্ছে, অরুণাচল প্রদেশের অঞ্জাও জেলা থেকে সেনা সরানো হবে। কারণ, ভারত-চীন সীমান্তে সেনা সংখ্যা বাড়ানো চলছে। গত জুন মাসে ভারত-চীন সীমান্তে যে উত্তেজনা লক্ষ্য করা যায়, তার জেরেই সমস্ত কার্যকলাপ চলছে বলে মনে করা হচ্ছে। জুনে গালওয়ান সীমান্তে ভারত ও চীন সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের পর বেশ কিছুদিন বিরতি চলছিল। কিন্তু আবারও গত সপ্তাহ থেকে চীন শুরু করেছে অনুপ্রবেশের চেষ্টা।

অন্যদিকে গত আগস্টে সিডিএস বিপিন রাওয়াত জানিয়ে দিয়েছিলেন, মৌখিক আলোচনায় যদি কাজ না হয়, তাহলে ভারতের পক্ষ থেকে কিন্তু পেশিশক্তি দেখানো হবে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বিপিন রাওয়াত এই দাবি করেন। তখন থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে। রাশিয়া যাবার আগেও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং অজিত দোভাল, এবং বিপিন রাওয়াত এর সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানেই ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। চীনকে ঠেকানোর জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে, তা নিয়েই হয়েছে দীর্ঘ আলোচনা বলে মনে করা হচ্ছে।

কয়েক দিন ধরে লাগাতার চীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্যাংগং দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে ভারতে। কিন্তু যথারীতি সেই চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের দক্ষতায়। দুই দেশের সেনা কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চললেও যেভাবে চীন আগ্রাসনে বড় ভূমিকা গ্রহণ করছে তাতে করে কিন্তু ভারত চীন যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমশ তীব্র হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।অন্যদিকে সাম্প্রতিক অনুপ্রবেশ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের দাবি, এত কম সময় পরপর দুবার চিনা আগ্রাসনের ঘটনা রীতিমতো বিস্মিত করার মত। এদিকে চিনা আগ্রাসন নিয়ে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলেও রীতিমতো সমালোচনার মুখোমুখি বেজিং সরকার। এই পরিস্থিতিতে ভারত-চীন সীমান্তে যুদ্ধকালীন তৎপরতাও চোখে পড়েছে। আপাতত পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।