এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > লাদাখ সীমান্তে বাড়ছে চীনের তৎপরতা কপালে ভাঁজ কেন্দ্রের

লাদাখ সীমান্তে বাড়ছে চীনের তৎপরতা কপালে ভাঁজ কেন্দ্রের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার সংক্রমণ শুরু হলে লাদাখ সীমান্তে ভারতের সঙ্গে জমি বিবাদ শুরু করেছিল চীন। এরপর চীনের সঙ্গে ভারতের বেশ কয়েকবার সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চলে। বৈঠকের পর লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিতে রাজি হয় চীন। চীন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, লাদাখে আবার শান্তি ফিরিয়ে আনার। কিন্তু, চীনের সেই প্রতিশ্রুতি যে একান্তই জলের আলপনা ছিল, তা প্রমাণ করে দিচ্ছে চীনের বেশকিছু কার্যকলাপ।

সম্প্রতি উপগ্রহ চিত্র ও সামরিক গোয়েন্দা সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে, এখনো পর্যন্ত লাদাখ সীমান্ত থেকে চীন সেনা সরিয়ে নেয় নি। এই এলাকায় পরিকাঠামো মজবুত করার কাজে নেমেছে চীন। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন যে, কারাকোরাম পাস্ ও আকসাই চীনে বেশ কয়েকটি রাস্তা তৈরি করেছে চীন সরকার। আরও কয়েকটি নির্মাণকার্যও চীন এখানে শুরু করেছে। যা কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে কেন্দ্র সরকারের। চীনের এই কার্যকলাপ গুলি থেকে লাদাখ সীমান্তে চীনের সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধির স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।

ইতিমধ্যে কারাকোরাম পাসে ৮ থেকে ১০ মিটার চওড়া একটি নতুন রাস্তা চীন করেছে। এই নতুন রাস্তা ব্যবহার করলে লাদাখের ভারতীয় বিমান ঘাঁটি দৌলত বেগ ওল্ডি সেক্টরে দু’ঘণ্টা কম সময়ে চীনের সেনা পৌঁছে যেতে পারবে। এর সঙ্গে সঙ্গেই চীন এই অঞ্চলে প্রায় সমস্ত কাঁচা রাস্তার মেরামতের কাজ শুরু করেছে। এই রাস্তা গুলো মেরামত করার পর বিভিন্ন সরঞ্জামসহ বড় গাড়ি সহজেই চলাচল করতে শুরু করেছে রাস্তাগুলোকে। রাস্তাগুলোকে অনেকটা চওড়া করা হয়েছে, যাতে বড় গাড়ি যাতে সহজে চলাচল করতে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর সঙ্গে সঙ্গেই চীনের গোলমাডের কাছে মাটির নিচে একটি পেট্রোল ও তেল সঞ্চয় কেন্দ্র চীন স্থাপিত করেছে। নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে এই তেল সঞ্চয় কেন্দ্রের দূরত্ব প্রায় ১০০০ কিলোমিটার হলেও, এই অঞ্চলটি রেলপথে লাসার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। ফলে সেখান থেকে দ্রুত জ্বালানি তেল সীমান্তে পৌঁছে যেতে পারবে সীমান্তে। এভাবে, পরিকাঠামো গত উন্নয়ন ঘটিয়ে লাদাখ সীমান্তে চীন আবার সমস্যা বাধাতে পারে, এমন একটা আশঙ্কা রয়েছে।

আবার, এর সঙ্গেই সম্প্রতি লাদাখে নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন অঞ্চলে সাঁজোয়া গাড়ি ও চীনা সৈন্যর আনাগোনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রসঙ্গত লাদাখে ৫৯৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে চীনের সঙ্গে ভারতের। এই সীমান্তে আবার গন্ডগোল বাঁধাতে পারে চীন, এমন আশঙ্কা বাড়ছে। সম্প্রতি অরুণাচল, সিকিম সীমান্ত অঞ্চলেও ব্যাপকভাবে নিজের গতিবিধি বানিয়ে নিয়েছে চীন। সবকিছু নিয়েই কপালে ভাঁজ পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!