এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > লাগাতার জেরার মুখে অবশেষে ভেঙে পড়লেন রিয়া চক্রবর্তী! অবশেষে স্বীকার মাদক যোগের কথা!

লাগাতার জেরার মুখে অবশেষে ভেঙে পড়লেন রিয়া চক্রবর্তী! অবশেষে স্বীকার মাদক যোগের কথা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সুশান্ত সিং রাজপুতের মামলার তদন্তে প্রকাশ্যে এসেছিল রিয়া চক্রবর্তী ও শ্রুতি নামে একজনের চ‍্যাট। আর সেই হোয়াটসঅ্যাপ চ‍্যাটের ভিত্তিতেই রিয়া চক্রবর্তী ও অন‍্যান‍্যদের নারকোটিক্স টেস্ট করানো হবে বলে জানা গিয়েছিল। এর জন্য তাদের বিরুদ্ধে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট‍্যান্স আইন বা NDPC এর আওতায় ভারতীয় দন্ডবিধির ২০বি, ২৮ সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। আর সেই সূত্রেই রিয়া ও তাঁর ভাই সৌভিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তারসঙ্গে সিদ্ধার্থ পিঠানি, স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং সুশান্তের দিদি মীতু সিংকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

তবে সেই জিজ্ঞাসাবাদ কিন্তু কথাবার্তা স্তরেই থেমে থাকেনি। সম্প্রতি বেশ কয়েকজনের অ্যারেস্ট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সেখানে প্রথমে মুম্বই থেকে আবদুল বশিত এবং জৈদ ভিলাতরাকে গ্রেপ্তার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এরপর তাদের কথার সূত্র ধরে রিয়া, স্যামুয়েল মিরান্ডার মাধ্যমে রিয়ার ভাই সৌভিক চক্রবর্তীকে মাদক সরবরাহ করা হত বলে তারা বলে। শুধু তাই নয়, ধৃতদের মধ্যে একজন বলিউড যোগের কথাও স্বীকার করে নেয়। এরই মাধ্যে রিয়ার ম্যানেজার শ্রুতি মোদির আইনজীবী ইমতিয়াজ খাতরি নামে এক ব্যক্তি এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে বলেও জানা যায়। তবে ঘটনা এখানেই থেমে থাকেনি। যতদিন গেছে তা আরও গভীর হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এসবের মাঝেই রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিকের এক চ্যাট প্রকাশ্যে এসেছে। যে চ্যাটে সৌভিককে মাদক কারবারীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। তবে সেই কথপোকথনে ‘ড্যাড’ বলে কাকে সম্বোধন করা হয়েছে, সেই নিয়েই রহস্য তৈরি হয়। এই মাদক কারবারীদের সঙ্গে এত ঘন ঘন যোগাযোগ রাখাকেই সন্দেহের চোখে দেখছিলেন গোয়েন্দারা। ফলত বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শেষ পর্যন্ত জানা যায়, সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তবে এবার পালা রিয়া চক্রবর্তীর। সাড়ে ছ’ঘণ্টা অফিসারদের লাগাতার প্রশ্নের চেপে জর্জরিত হয়ে রিয়াই যে সুশান্তের জন্য মাদক নিয়ে আসতেন এবং সেকাজে তাকে সাহায্য করতেন ভাই সৌভিক একথা অবশেষে স্বীকার করে নিয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। আর মাদক চক্রের যোগ নিয়ে সৌভিক, স্যামুয়েল এবং দীপেশ এনসিবি অফিসারদের যে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন সেই বয়ানের ভিত্তিতেই রিয়াকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, সৌভিক, স্যামুয়েল এবং দীপেশের সামনে বসিয়েই তাঁকে জেরা করা হবে।

সেক্ষেত্রে বয়ানে অসঙ্গতি থাকলেই গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলেই জানা গেছে। তবে অন্যদিকে, রিয়ার বাবা বলেছিলেন তারা মধ্যবিত্ত পরিবার। তাই তাদেরকে কাঠগড়ায় তোলা খুবই সহজ। যে কারণে তাঁর ছেলের পরে এবার মেয়েকেও গ্রেপ্তার করার ফন্দি করা হচ্ছে। অন্যদিকে, বিয়ার আইনজীবী জানিয়ে দিয়েছেন যে, ভালোবেসে যদি তাঁর মক্কেলকে যদি গ্রেফতার হতে হয়, তবে তিনি গ্রেফতার হতেও রাজি। তাই তিনি কোনরকম ভাবেই আগে থেকে কোন জামিনের আবেদন করবেন না। তবে তারা সবাই বিচার ব্যবস্থায় পূর্ণ আস্থা রেখেছেন এবং সত্যের জয় যে হবেই সেই কথাই তাদের মুখে শোনা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!