এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > লাগবে জিএসটি সহ পাকা বিল! মমতার পুজো অনুদান নিয়ে এবার মহা ফ্যাঁসাদে দূর্গাপুজো কমিটি গুলি!

লাগবে জিএসটি সহ পাকা বিল! মমতার পুজো অনুদান নিয়ে এবার মহা ফ্যাঁসাদে দূর্গাপুজো কমিটি গুলি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চলতি বছরে করোনার সংক্রমনের মধ্যেই দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তা ক্লাবগুলোকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকার অনুদানের ঘোষণা করা হয়েছিল। করোনা সংক্রমণ কালে ক্লাব অনুদান দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল হাইকোর্টে। সে সময় হাইকোর্টের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, এই অনুদানের ৭৫ % মাস্ক, স্যানিটাইজার বিতরণের কাজে ব্যয় করতে হবে। কমিটিগুলি হাইকোর্টের এই নির্দেশ পালন করেছে কিনা, তা পরবর্তী শুনানিতে হাইকোর্টকে জানবার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশকে।

এবার পুজো কমিটি গুলির কাছ থেকে অনুদানের টাকা খরচের হিসাব চাইতে আরম্ভ করেছে পুলিশ। যা নিয়ে বিপাকে পড়েছে বেশকিছু পূজা কমিটি। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পুজো কমিটি গুলিকে দেওয়া অনুদানের অর্থ পুলিশের মাধ্যমেই বিলি করা হয়েছিল। এবার পুলিশ সেই অনুদানের হিসেব চাইতে শুরু করেছে। জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন পুজো কমিটির কাছে ফোন করে এই হিসেবে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হলো সংশ্লিষ্ট থানা থেকে। পুজো কমিটি গুলির কাছে মাস্ক, স্যানিটাইজার বাবদ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকার বিল জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল সংশ্লিষ্ট থানা।

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুজো কমিটি গুলিকে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে যে, এ বিষয়ে সাধারণ বিল দিলে চলবে না, জিএসটি নম্বর সহ পাকা বিল জমা দিতে হবে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই বিল জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পূজা কমিটি গুলিকে। এ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, ” হাইকোর্ট অর্ডার দিয়েছিল পুজোর সময় মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করতে হবে পুজো কমিটিগুলিকে, সেগুলি বিলিও করতে হবে। পুজো কমিটিগুলি কী কী কাজ করল সেই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে করা হচ্ছে।’’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পুলিশের এই নির্দেশ পাওয়ার পরেই বিপাকে পড়েছেন বহু পুজো উদ্যোক্তারা। থানা থেকে ফোন পেয়েই মাথায় হাত পড়েছে পুজো কমিটি গুলির। জলপাইগুড়ি শহরের এক মাঝারি পূজা কমিটির সদস্যরা জানালেন যে, তাঁরা পূজার সময়ে মাস্ক, স্যানিটাইজার বিলি করেছিলেন। কিন্তু তা অল্প টাকায়। সাড়ে ৩৭ হাজার টাকা বিল দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

প্রসঙ্গত করোনা সংক্রমনের কারণে, এবারে জলপাইগুড়ি জেলার বেশিরভাগ বড় বড় পুজো কমিটি সংক্ষিপ্তভাবে পুজোর আয়োজন করেছিল। অনেক ছোট, মাঝারি পুজো কমিটি গুলি এবার ঘটে পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তারপর, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান মেলায় কমিটিগুলি আবার নতুন করে পূজার আয়োজন করে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে মাস্ক, স্যানিটাইজার বিলি তারা করেছিল। তবে অনেক পূজা কমিটিই দাবি করেছে যে ৩৭ হাজার ৫০০ টাকার জিএসটি বিল দেওয়া তাদের পক্ষে অসম্ভব।

তবে, জলপাইগুড়ি জেলার বড় পুজো কমিটি গুলির মধ্যে বেশকিছু কমিটি জানিয়েছে যে, তাদের কাছে সমস্ত কিছুর জিএসটি সহ পাকা বিল আছে। এ বিষয়ে কদমতলা সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটির সদস্য কৌস্তভ বসু জানান যে, পুজোর কয়েকদিন প্রচুর পরিমাণে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিলি করেছেন তাঁরা। যা ৩৭ হাজার টাকার বেশিই হবে। সেগুলো নেবার সময় তাঁরা পাকা বিল নিয়েছিলেন। যেগুলো তাঁরা পুলিশের কাছে জমা করবেন। এভাবে, পুজোর অনুদান মেলায় একসময় অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিলেন, পুজো উদ্যোক্তা ক্লাবগুলো, এবার পাকা বিল চাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারাই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!