এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > খুনের মামলায় সিআইডির পদক্ষেপে বড়সড় বিপাকে বঙ্গ বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা

খুনের মামলায় সিআইডির পদক্ষেপে বড়সড় বিপাকে বঙ্গ বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা


জমি আন্দোলনের উত্তাপে বারবার খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে নন্দীগ্রাম। আবার সেই নন্দীগ্রামকে নিয়েই একটি চমক লাগানোর মতো খবর প্রকাশ্যে আসলো। ভাঙাবেড়ায় ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির দুই নেতার হত্যাকান্ডের জট কাটানোর দায়িত্ব রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের কাছে যেতেই তাঁরা চুলচেরা তদন্তে নেমে পড়েছিলো। আর তাতেই প্রধাণ অভিযুক্ত হিসাবে নাম এসেছে হলদিয়ার প্রাক্তণ সিপিএম সাংসদ তথা বর্তমানের বিজেপি নেডা লক্ষণ শেঠের। অভিযোগ তিনিই নাকি সেই বাম জামানায় সিপিএমের সশস্ত্র ক্যাডারদের দিয়ে অপহরণ করিয়ে খুন করেছিলেন নন্দীগ্রামের রায়নগরের বাসিন্দা দুর্গাপদ মাইতি এবং সাত নম্বর জালপাইয়ের বাসিন্দা সুব্রত সামন্তকে।

প্রিয় বন্ধু বাংলার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ – Priyo Bandhu Bengali

—————————————————————————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এ বছরের গোড়ার দিকেই নিহত দুর্গাপদের স্ত্রী অমিতা দেবী মামলা দায়ের করেছিলেন হলদিয়া আদালতে। তাঁর স্বামীর খোঁজ পাওয়ার জন্যেই এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি। এই আবেদনের উপর ভিত্তি করেই আদালত এফআইআর নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন পুলিশ প্রশাসনকে। তারপরই প্রশাসন নড়েচড়ে বসে এবং লক্ষণ শেঠ সহ আরো ১৪ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ এবং খুনের মামলা দায়ের হয়। সেই মামলারই তদন্ত করার দায়িত্ব পড়ে সিআইডি দের ঘাড়ে। সিআইডির আইজি (২) অশোক কুমার প্রসাদও ১৫ জন অভিযুক্তের কথা জানান। এছাড়া আরো বলেন এঁরা সকলেই বাম জামানা থেকেই ওই এলাকার হেভিওয়েট সিপিএম নেতা।

ওদিকে, এফআইআর এর রিপোর্ট থেকে উঠে এসেছে এই মামলা সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য। ১৪ মার্চ,২০০৭ সালে পুলিশের গুলি চালানোর দিন ভূমি উচ্ছেদ কমিটির ডাকা অবস্থান বিক্ষোভে ভাঙবেড়ায় গিয়েছিলেন নিহত দুজনই। সেই জমায়েতের সময়ই পুলিশের সাথে গন্ডোগোল বাঁধে,তারপরই পুলিশ গুলি চালায়। সেই সময় ভীড়ের সুযোগে ঢুকে পড়েছিলো লক্ষণ সেনের সশস্ত্র দলবলেরা। তাঁরা প্রথমে ওই দুই নেতাকে অপহরণ করে এবং পরে খুন করে। প্রসঙ্গত, ওদিন পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনায় সবকটি এফআইআর খতিয়ে দেখার দায়িত্ব কোলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইকে দিয়েছিলো। সেই একইদিনের একই ঘটনার তদন্তভার সিআইডির উপর কীভাবে বর্তালো তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন শুরু হয়ে গেছে। তবে সিআইডিট আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, মৃত বা নিখোঁজের তালিকায় এ দুজনের নামই ছিল না। তাছাড়া এফআইআর এছর নথিভুক্ত করা হয়েছে বলেই সিআইডির উপর তদন্তভার এসেছে বলেই স্পষ্ট করে বলেন তাঁরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!