CBI-ED-তে বড়সড় রদবদল? চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে রাঘববোয়ালদের জালে পড়া শুধু সময়ের অপেক্ষা? কলকাতা রাজ্য October 13, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আছে বিজেপি সহ রাজ্যের বিভিন্ন বিরোধী দলের। এই অভিযোগ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো চিটফান্ড কেলেঙ্কারি। পশ্চিমবঙ্গ তথা পূর্ব ভারতের বেশ কিছু বড় বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলার তদন্ত করতে নিযুক্ত আছে সিবিআই ও ইডি। কিন্তু এই সমস্ত মামলার ফল কবে বেরোবে, তার কোন নিশ্চয়তা নেই। দীর্ঘ সময় ধরে চলছে এই মামলার তদন্ত। এদিকে সামনেই কড়া নাড়ছে ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনের পূর্বে তদন্তে গতি আনতে তৎপর হতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় সরকারকে। দীর্ঘ সময় ধরে চলছে এই মামলাগুলোর তদন্ত। ক্ষতিগ্রস্থ আমানতকারীরাও দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করে আছে, কবে এই মামলার ফল বের হবে। মামলার তদন্তে গতি আনতে আজ মঙ্গলবার ইডির স্পেশাল ডিরেক্টর যোগেশ গুপ্তাকে তাঁর পদ থেকে অপসারিত করা হলো। পরিবর্তে স্পেশাল ডিরেক্টরের পদে এলেন বিবেক বাদেকর। প্রসঙ্গত, ইডির স্পেশাল ডিরেক্টর যোগেশ গুপ্তাকে নিয়ে ইতিপূর্বেই বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছিল সিবিআইয়ের দপ্তরে। প্রসঙ্গত গত ৭ বছর ধরে ইডির স্পেশাল ডিরেক্টর এর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। চিটফান্ডের বেশ কিছু মামলার তদন্ত নিয়ে তাঁর সময়ে সিবিআই ও ইডির মধ্যে মতবিরোধের টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছিল। এবার কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত তদন্ত শেষ করে মামলার নিষ্পত্তিতে আগ্রহী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পশ্চিমবঙ্গ তথা পূর্ব ভারতের বৃহত্তম আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলা হল রোজভ্যালি চিটফান্ড কেলেঙ্কারি মামলা। এই মামলার তদন্তে নিয়োজিত সিবিআই ও ইডি। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, গত ১৯৯৯ সাল থেকে শুরু করে রোজভ্যালি আমানতকারীদের কাছ থেকে তুলছে ১৭৫২০ কোটি টাকা। যার মধ্যে আমানতকারীদের তারা ফেরত দিয়েছিল ১০৫০০ কোটি টাকা। নিজের নাম গোপন রেখেই জনৈক তদন্তকারী অফিসার এ প্রসঙ্গে জানালেন যে, ইডি রোজভ্যালির কাছ থেকে এরমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে ৪৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি।রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুন্ডু দীর্ঘ সময় ধরে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দী আছেন। প্রায় সাড়ে ৫ বছর ধরে চলছে তার হাজতবাস। তদন্তকারী অফিসার আরও জানিয়েছেন যে, সেবির দায়ের করা মামলার শুনানি হতে চলেছে আগামী নভেম্বর মাসে। সেই শুনানির দিনেই অভিযুক্তের সাজা ঘোষণার সম্ভাবনা আছে। প্রসঙ্গত রাজ্যের বিভিন্ন চিটফান্ড মামলাগুলোর নিষ্পত্তি দিকে তাকিয়ে বসে আছেন আমানতকারীরা। যারা নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ কিছু লাভের আশায় লিখেছিলেন চিটফান্ডে। প্রতারিত হয়েছিলেন তারা প্রতারকদের জ্বালে পড়ে। আবার, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই চিটফান্ড মামলাগুলো নিষ্পত্তি হলে, সেটাকে একটা বড় ইস্যু করে শাসকদলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রচারের এক বিরাট সুযোগ পাবে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। আপনার মতামত জানান -