এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > লক্ষ্য ২০২১- তাই তৃণমূলের জেলা কমিটিতে নতুন মুখের ছড়াছড়ি

লক্ষ্য ২০২১- তাই তৃণমূলের জেলা কমিটিতে নতুন মুখের ছড়াছড়ি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রথমেই দলীয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের রাজ্য এবং জেলা সংগঠনে উল্লেখযোগ্য বদল এনেছিলেন। দেখা গিয়েছে, তৃণমূল নেত্রী পুরনোদের থেকে বেশি ভরসা করেছেন নতুনদের ওপর। রাজ্য এবং জেলার সাংগঠনিক পরিবর্তনের পর শুরু হয়েছে একের পর এক জেলা এবং ব্লক কমিটির ঘোষণা। বৃহস্পতিবার বিকেলে নতুন জেলা এবং ব্লক কমিটির ঘোষণা করলেন দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস। বৃহস্পতিবার বিকেলে বালুরঘাট শহরের কাঁঠালপাড়া এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে কমিটি ঘোষণা করা হয়।

প্রসঙ্গত, এবারের জেলা এবং ব্লক কমিটিতে প্রচুর নতুন মুখ উঠে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। জেলা কমিটিতে মোট 72 জন রয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি অম্বরিশ সরকার। উল্লেখ্য, গত 23 শে জুলাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষকে সরিয়ে দায়িত্ব দেন গঙ্গারামপুর এর বিধায়ক গৌতম দাস এর ওপর। আর তারপরেই উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের সংগঠনে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর একাধিকবার বৈঠক করেন গৌতম বাবু।

এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের তিন নেতা এবং এক যুবনেতাকে শোকজ করেন তিনি। দীর্ঘ দু’মাস পর রাজ্যের নির্দেশে এবার ঘোষণা হল নতুন জেলা কমিটি। নতুন জেলা কমিটিতে দুর্নীতি যুক্ত কোন নেতা কিংবা পুরনো নেতা নয়, বরং নতুনদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, নতুনদের কাঁধে ভর করেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনী যুদ্ধে নামতে চলেছে তৃণমূল সরকার। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা সভাপতি গৌতম দাসের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের যুগ্ম কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকি, ললিতা টিগ্গা, কুমারগঞ্জের বিধায়ক তোরাপ হোসেন মন্ডল, তৃণমূলের যুব সভাপতি অম্বরিশ সরকার সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্বরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে উল্লেখযোগ্যভাবে অনুপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্যতম মন্ত্রী তপন বিধানসভার বিধায়ক বাচ্চু হাঁসদা। এখান থেকেই উঠেছে জেলার শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রশ্ন। যদিও তৃণমূল জেলা সভাপতি গৌতম দাস এদিন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রসঙ্গটি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, দলে ব্যক্তিদ্বন্দ্ব থাকতেই পারে। কারণ প্রচুর বর্ষিয়ান নেতা রয়েছেন জেলায়। তবে ভুল বোঝাবুঝি হলে তা যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে সে কথা তিনি জানিয়েছেন।

আপাতত লক্ষ্য, আগামী একুশের বিধানসভা নির্বাচন। আর সে জায়গায় দাঁড়িয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর এবার জোরদার লড়াইয়ের জন্য জোট বাঁধছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের পরেই উত্তরবঙ্গ থেকে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় তৃণমূল শিবির। আর তাই এবার দলীয় নেত্রীর কড়া নজর সঙ্গে মাটি পুনরুদ্ধারের দিকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে তৃণমূলের অন্দরে এখন সবথেকে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর সেক্ষেত্রে কোন কোন জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এত তীব্র আকার ধারণ করছে যেখানে তৃণমূল শিবিরকে কার্যত অস্বস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!