এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > লক্ষ্য পুর নির্বাচন, দলের সংগঠনকে একেবারে খোলনলচে বদলে নেওয়ার প্রস্তুতি তৃণমূলের

লক্ষ্য পুর নির্বাচন, দলের সংগঠনকে একেবারে খোলনলচে বদলে নেওয়ার প্রস্তুতি তৃণমূলের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের ১০০ টিরও বেশি পুরসভায় মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে এখনো পুরভোট করাতে পারে নি রাজ্য সরকার। করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় উপ নির্বাচন, পুর নির্বাচন করাবার সম্ভাবনা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে পুরভোটে সাফল্য পেতে বিশেষ উদ্যোগ নিল তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলায় ভালো ফল করলেও, বহরমপুর আসনটি জিততে পারেনি তৃণমূল। এই আসনটি বিজেপির হাতে চলে গেছে। এবার পুর নির্বাচনে বহরমপুরে সাফল্য পেতে বিশেষ উদ্যোগ নিল তৃণমূল।

জেলায় ভালো ফল করলেও, বহরমপুরে কেন পরাজিত হয়েছে তৃণমূল? তার কারণ সন্ধানে ব্যস্ত শাসকদল। এজন্য সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। দেখা যাচ্ছে বহরমপুরে তৃণমূল প্রার্থী নাড়ুগোপাল মুখার্জি বহরমপুর পুর এলাকায় মোট ভোটের ২৩ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। এবার আসন্ন পুরভোটের দিকে লক্ষ্য রেখে দলের সংগঠনকে মজবুত করতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল। দলের সংগঠনকে একেবারে ঢেলে সাজাবার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বহরমপুর টাউন তৃণমূল সভাপতি ও বিধানসভা নির্বাচনে বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী নাড়ুগোপাল মুখার্জি জানালেন যে, বিভিন্ন সূত্র থেকে তাঁরা জানতে পেরেছেন যে, রাজ্য সরকার খুব শীঘ্রই বিভিন্ন পুরসভা গুলিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পারে। এ কারণে পুর নির্বাচনের দিকে লক্ষ রেখে দলের সংগঠনকে ঢেলে সাজাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে যে সমস্ত ব্যক্তির ভুলে নির্বাচনে তৃণমূল পরাস্ত হয়েছিল, তাঁদেরকে বাদ দিয়ে নতুন মুখ সংগঠনে আনা হচ্ছে। এই সমস্ত ব্যক্তিদের নেতা হবার প্রবণতা কম, তুলনায় সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছা বেশি। এই ধরনের ব্যক্তিদের নিয়ে বহরমপুরের পুর এলাকার সমস্ত ওয়ার্ডে কাজ শুরু করেছেন তাঁরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূল নেতা নাড়ুগোপাল মুখার্জি আরো জানান যে, তৃণমূল সদস্যরা বহরমপুর পুর এলাকার সমস্ত ওয়ার্ডে করোনা মহামারীর সময় নিরলসভাবে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিয়েছেন। এর সঙ্গেই তৃণমূলের আমলে বহরমপুর এলাকাতে কিভাবে উন্নয়ন হয়েছে? তার পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। তিনি জানালেন, বিধানসভা নির্বাচনে বহরমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের কিছু মানুষ বিজেপির ধর্মীয় মেরুকরনের কারণে বিভ্রান্ত হয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছেন যে, সাম্প্রদায়িকতা ও উন্নয়ন কখনোই একসঙ্গে চলতে পারে না। এজন্যই দেশজুড়ে বেড়ে চলেছে পেট্রোলের দাম, আর থমকে গেছে দেশের উন্নয়ন।

তিনি জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে করোনা মহামারীর সময়ও রাজ্যে একের পর এক উন্নয়নমুখী প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। তাই বিধানসভা নির্বাচনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর রাজ্যের মানুষের আস্থা আরো অনেক বেড়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের পর নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে বহরমপুরে বিজেপির বহু নেতা- কর্মী তৃণমূলে যোগদান করতে শুরু করেছেন। পুর নির্বাচনের আগে বিজেপির প্রচুর নেতা-কর্মী তৃণমূলে ফিরে আসতে চেয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তিনি দাবি করেছেন, বহরমপুরে পুর নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীরা সমস্ত ওয়ার্ডে জয়লাভ করবেন। এভাবেই পুর নির্বাচনের দিকে লক্ষ রেখে এখন থেকেই দলের সংগঠনকে সাজিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিল তৃণমূল।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!