এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > লালগড়ে শবরদের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী, ঝড় রাজ্য-রাজনীতিতে

লালগড়ে শবরদের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী, ঝড় রাজ্য-রাজনীতিতে

লালগড়ে শবরদের মৃত্যু নিয়ে বারবার বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে শাসক দলকে।এবার মুখ খুললেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়‌ “ডাক্তার ওষুধ দিলেও যদি কেউ না খায়, তাহলে কী করব?” লালগড়ে শবরদের মৃত্যু নিয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

বুধবার শবর মৃত্যুর ঘটনা খতিয়ে দেখতে লালগড়ের পূর্ণাপণি গ্রামে যান বিনপুর এক নম্বর ব্লকের বিডিও, জেলা পরিষদের সভাপধিপতি-সহ ব্লক প্রশাসনের আরো অনেক পদস্থ আধিকারিকরা।এদিন প্রশাসনের উদ্যোগে সকাল ও দুপুরে ভরপেট খান শবর সম্প্রদায়ের মানুষেরা।

ঝাড়গ্রামে বিস্তৃত অঞ্চল লোধা-শবরদের মত উপজাতি অধ্যুষিত। আদিবাসী জনজাতির এই মানুষগুলিকে হতদরিদ্র বললেও হয়ত কম বলা হয়। কেউ অন্যের জমিতে মজুরের কাজ করেন, কেউ আবার জঙ্গল থেকে কাঠ-পাতা কুড়িয়েই কোনমতে দিন গুজরান করেন।

স্কুলে যাওয়া এদের কাছে অনেকটা স্বপ্নের মত, খুব অল্প বয়সেই বিয়ে হয়ে যায় শবর পরিবারের ছেলেমেয়েদের। স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রায় সকলেই দিনভর নেশায় বুঁদ হয়ে থাকেন। রাজ্যের পালাবদলের পর শবর-লোধাদের উন্নয়নে একাধিক প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার।

শুধু চাষের জন্য জমি কিংবা বসতবাড়ির ব্যবস্থায় নয়, পাশাপাশি সরকারি প্রকল্পে রেশন, বাড়িতে বিদ্যুত্‍ সংযোগ, এমনকী, শবর সম্প্রদায়ের ছেলে-মেয়েরা নিখরচায় স্কুলে পড়াশোনাও করতে পারে বর্তমানে। কিন্তু, সমস্যাটা অন্য জায়গায়। যাঁদের জন্য প্রকল্প চালু করেছে সরকার, তাঁরাই প্রকল্পের সুবিধা নিতে আগ্রহী নন। উলটে সরকারি প্রকল্পে পাওয়া সামগ্রী শবর সম্প্রদায়ের মানুষেরা বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ।

চলতি মাসে তিন থেকে এগারো তারিখ পর্যন্ত লালগড়ের পূর্ণাপণি গ্রামে শবর সম্প্রদায়ের চারজন মারা গিয়েছেন।বেশিরভাগ মৃতের পরিবার এই অভিযোগ রোগে ভুগে মৃত্যু হয়েছে ওই শবরদের। ঘটনাটি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প চালুর পাশাপাশি, শবরদের উপর প্রশাসনিক নজরদারিরও দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,বুধবার নবান্নে বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জঙ্গলমহলের উন্নয়নের জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করেছে সরকার। লোধা-শবর সম্প্রদায়ের মানুষদের ৮ টাকা কেজি দরে চাল ও ৩ টাকা কেজি দরে গম দেওয়া হয়। কিন্তু চিকিত্‍সকরা ওষুধ দিলেও যদি কেউ না খায়, তাহলে কী করব!”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিকে লালগড়ে পরপর শবর সম্প্রদায়ের চারজনের মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসেছে জেলা ও ব্লক প্রশাসনও। এমনকি ঘটনার পরে লালগড়ের পূর্ণাপণি গ্রামে গিয়ে শবরদের খোঁজ খবর নিয়েছেন ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা রানি। পরিদর্শনে গিয়ে বেশ কয়েকজনকে তিনি হাসপাতালেও ভরতির ব্যবস্থা করেছেন বলে খবর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!