বাবার অনুপস্থিতিতে দল কার – লালুর দুই পুত্রের কাজিয়ায় বিহারে ঘর সমস্যায় আরজেডি জাতীয় June 10, 2018 পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী প্রমাণিত হয়ে আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব কারাবাস করছেন। দলের দায়িত্বভার এখন তাঁর ছোট ছেলে তথা বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের কাঁধে ন্যাস্ত। এমন সময়ে বিহারের রাজনৈতিক মহলে চাপা গুঞ্জন ছোট ভাইয়ের কর্তৃত্ব মেনে নিতে আপত্তি দেখাচ্ছেন লালু প্রতাপ যাদবের বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদব। অবশ্য এইসব জল্পনাই অস্বীকার করে দাবি করছেন এইসবই এসবই সঙ্ঘের লোকেদের ষড়যন্ত্র। উল্লেখ্য বিহারের জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারের সাথে আসন সমঝোতা করে জোট সরকার গঠনের পরে প্রবীন রাজনীতিবিদ লালু প্রসাদ যাদব তাঁর ছোট ছেলে তেজস্বী যাদবকে উপমুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন । আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে রাজনৈতিক মহলের মতে সবদিক বিবেচনা করেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন রাজনৈতিক কুটনীতিতে তাঁর বড় ছেলে তেজপ্রতাপ অতটা পারদর্শী নয়। আরজেডি দলের দায়িত্ব প্রাপ্ত বর্তমান অভিভাবক তেজস্বী প্রসাদ যাদবকে ও দলের বিভিন্ন অধিবেশন, বিরোধী দলের সাথে বৈঠক, রাজনৈতিক আমন্ত্রনে বেশ উল্লেখযোগ্য ভাবেই অংশ গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই দলের অন্দরে তেজস্বী প্রসাদের যাদবের গ্রহণযোগ্যতা তেজপ্রতাপ যাদবের থেকে বেশ কিছুটা বেশি। সম্প্রতি সোস্যাল মিডিয়ায় তেজপ্রতাপ যাদবের ব্যক্তিগত ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখতেও দেখা গেছে। সেখানে তিনি ট্যুইট করেছিলেন , ”অর্জুনকে হস্তিনাপুরের ক্ষমতায় বসিয়ে দ্বারকায় চলে যাব।” তিনি আরোও লেখেন , ”অর্জুনকে হস্তিনাপুরের ক্ষমতায় বসিয়ে দ্বারকায় চলে যাব।” তাঁর এইসব পোস্ট কে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে অনেক কৌতুহল দেখা গেলেও সেইসব কিছুকে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দেননি। বরং তিনি বললেন, ”রাজেন্দ্র পাসোয়ানের মতো লোকেরা দলের কাজ করেছেন। লালুজি, রাবড়িজি ও তেজস্বীকে বলার পরই তাঁকে পদ দেওয়া হয়েছে। কেন এত দেরি হল? দলের লোকেরা আমার ফোন ধরেন না। তাঁদের দাবি, প্রবীণ নেতারাই নাকি এমন নির্দেশ দিয়েছেন। দল থেকে অসামাজিক লোকেরা ভাঙন ধরাতে চাইছে। এই ধরনের লোকেদের সনাক্ত করে বহিষ্কার করতে হবে। সঙ্ঘের লোকেরা গুজব রটাচ্ছে। তেজপ্রতাপ আমার হৃদয়ের টুকরো।” আপনার মতামত জানান -