প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের পক্ষ থেকে যখন গোটা দেশের মধ্যে বাংলা সর্বশ্রেষ্ঠ স্থানে রয়েছে বলে দাবি করা হয়, ঠিক তখনই বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয় গুজরাটের উন্নতি দেখে শিক্ষা নিক বাংলা। অর্থ্যাৎ উত্তর মেরু এবং দক্ষিণ মেরুতে অবস্থান করা তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি নিজেদের দখলে থাকা রাজ্যগুলোকে সামনে এনে সেখানে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সত্যিই কি তাদের এই দাবি যুক্তিযুক্ত?

সূত্রের খবর, সহজে ব্যবসা করার মাপকাঠিতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যে তালিকা বানানো হয়েছে, সেখানে প্রথম পাঁচে বাংলার নাম নেই। অন্যদিকে পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর মধ্যে বাংলার নাম প্রথমদিকে থাকলেও, উল্লেখযোগ্যভাবে সেখানে নাম নেই গুজরাটের। ফলে এই দুই রাজ্য নিজেদের কৃতিত্ব দাবি করলেও, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা তালিকা যে অন্য কথা বলছে, তা কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল।

জানা গেছে, শনিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাণিজ্য সংস্কারের অ্যাকশন প্ল্যান প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যেখানে “ইজ অব ডুয়িং বিজনেস” মাপকাঠিতে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ। আর তালিকায় দুই নম্বরে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ এবং তৃতীয় স্থানে তেলেঙ্গানা। অন্যদিকে ব্যবসা করার সুযোগ সুবিধা ও পরিবেশের নিরিখে প্রথম পাঁচেও জায়গা হয়নি পশ্চিমবঙ্গের।

যার ফলে পশ্চিমবঙ্গের শিল্প সমস্যা নিয়ে এতদিন বিরোধীরা যে অভিযোগ করেছে, তা কার্যত সত্যি হল বলেই দাবি করছেন একাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই রিপোর্ট তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারকে অনেকটাই চাপে রাখবে। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা যে ময়দানে নেমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আরও অস্বস্তিতে ফেলে দিতে পারেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

যেভাবে গুজরাট এবং পশ্চিমবঙ্গ একে অপরকে টেক্কা দিয়ে নিজেরা শ্রেষ্ঠ বলে এতদিন দাবি করেছে, সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এই রিপোর্টে দুই রাজ্যেরই মুখ অনেকটা পুড়ল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। কিন্তু, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে – বিজেপি শাসিত গুজরাট তালিকায় না থাকলেও, অপর বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ তাদের মুখ রক্ষা করতে পারে। কিন্তু, বিধানসভার আগে বাংলার অবস্থান চাপ বাড়াতে পারে তৃণমূল সরকারের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।