এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কর্নাটকে সরকার গড়া নিয়ে নতুন পদক্ষেপ গেরুয়া শিবিরের, বিস্তারিত জানুন ‘অপারেশন লোটাস’ সম্পর্কে

কর্নাটকে সরকার গড়া নিয়ে নতুন পদক্ষেপ গেরুয়া শিবিরের, বিস্তারিত জানুন ‘অপারেশন লোটাস’ সম্পর্কে


গত বছর কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের একক বৃহত্তম দল হয়েও সরকার গড়তে পারে না বিজেপি। রাজ্যের ‘থার্ড বয়’ জেডিএসকে পিছন থেকে সমর্থন করে কর্ণাটক দখল করে নেয় কংগ্রেস। আর তারপর থেকেই কর্নাটকে তীব্র উত্তেজনা ‘অপারেশন লোটাস’ নিয়ে। কংগ্রেস বা জেডিএস বারেবারেই অভিযোগ জানাতে থাকে বিধায়ক কেনাবেচার মাধ্যমে কর্নাটকে জোট সরকার ফেলার চেষ্টায় আছে গেরুয়া শিবির। আর কর্ণাটকের জোট সরকারের এই অভিযোগের মান্যতা পাওয়া যায়, গেরুয়া শিবিরের কথাবার্তাতেও।

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অভিলাষ নিয়ে সাংসদ হিসাবে পদত্যাগ করা বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা বারেবারেই দাবি করতে থাকেন, জোট সরকারের শীর্ষ নেতৃত্ব ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হবে। কেননা জোটের দুই দলের মধ্যে ঝগড়া আবারও শুরু হয়েছে। ফল বেরনোর পর এই ঝগড়া আরও বাড়বে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এমনকি জোটের শীর্ষ নেতৃত্বের এই ঝগড়ার কারণে কংগ্রেস ও জেডিএসের বহু বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলেও দাবি করা হয়। ফলে মনে করা হচ্ছিল, নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হলেই কর্নাটকে বদলে যেতে পারে সরকারের রঙ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বাস্তবে দেখা যায়, লোকসভা নির্বাচনের মোদী ঝড়ের সামনে খড়কুটোর মত উড়ে গেছেন বিরোধীরা। কর্ণাটকের ২৮ টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ও জেডিএসের কপালে জুটেছে মাত্র একটি করে আসন! নির্দল প্রার্থী একজন জেতায় বিজেপির ঝুলিতে গেছে ২৫ টি আসন, যা ২০১৪-এর লোকসভা বা ২০১৮-এর বিধানসভার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক বেশি। আর এরপরেই জল্পনা চরমে ওঠে যে কর্নাটকে জোট সরকার পরে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা! যে সব কংগ্রেস বা জেডিএস বিধায়করা ‘পাঁচিলের উপর’ অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা এবার একযোগে হেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন।

কিন্তু এসবের পরিপ্রেক্ষিতে কর্ণাটক বিজেপির শীর্ষনেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন। তিনি জানিয়েছেন, দিল্লি থেকে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন কোনওভাবেই কর্নাটকের কংগ্রেস ও জেডিএস-এর জোট সরকারের স্থায়িত্ব বিঘ্নিত করা যাবে না! এমন কিছু করা যাবে না যাতে কর্ণাটক রাজ্য সরকারের সুস্থিতি বিনষ্ট হয়। তবে তিনি আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে কিছু সময়ের জন্য বিষয়টি নিয়ে নীরব থাকবে বিজেপি। তাঁর ধারণা, কংগ্রেস নিজেদের মধ্যেই ঝগড়া করবে – ফলে, অন্য অনেক কিছুই হতে পারে। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই তিনি নিজে বা বিজেপি রাজ্যের সরকারকে ঘাঁটানো কিংবা ফেলার চেষ্টা করবেন না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!