এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে বিশেষ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, জেনে নিন কিভাবে এর আওতাভুক্ত হবেন?

লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে বিশেষ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, জেনে নিন কিভাবে এর আওতাভুক্ত হবেন?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের নির্বাচনী ইশতেহারে একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে অন্যতম হলো লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের সাধারণ গৃহবধুদের মাসে ৫০০ টাকা করে, তপশিলি জাতি ও উপজাতির গৃহবধুদের মাসে ১০০০ টাকা করে হাত খরচের টাকা দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। এবার এই প্রকল্প নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। খুব শীঘ্রই এই প্রকল্প চালু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রথম দিকে দেড় কোটি মহিলাকে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

রাজ্যে দ্রুত চালু হতে চলেছে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পের জন্য বাজেটে ১০ হাজার কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রথম দিকে রাজ্যের দেড় কোটি মহিলাকে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কি করে এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা যাবে? সে সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থেকে এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা হবে। প্রসঙ্গত বাড়ির মহিলাদের নামে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করা হয়েছে। সেই কার্ডের তথ্য দিয়েই প্রাথমিকভাবে রাজ্যের দেড় কোটি গৃহবধূকে এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে রাজ্যের যে সমস্ত মহিলা বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী বা মানবিক ভাতা পেয়ে থাকেন, সে সমস্ত মহিলাদের এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। প্রসঙ্গত, রাজ্যে সম্প্রতি ৬ লক্ষ ৮০ হাজার ৫৬৪ জন মহিলা বিধবা ভাতা পেয়ে থাকেন, বার্ধক্য ভাতা পেয়ে থাকেন ১৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ৬৫৭ জন মহিলা, প্রতিবন্ধী ভাতা পেয়ে থাকেন রাজ্যের ৪ লক্ষ ৩০ হাজার মহিলা। এই সমস্ত ভাতার পরিমান মাসে ১ হাজার টাকা। যে সমস্ত মহিলা উল্লিখিতভাতা গুলি পেয়ে থাকেন, তাঁরা লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হবেন  না।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার কাজ করবে সমাজকল্যাণ, নারী ও শিশু বিকাশ দপ্তর। পঞ্চায়েত, পুরসভার দ্বারা এ কাজ করানো যাবেনা। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে কোনো রকম রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো চলবে না। এক্ষেত্রে যদি কোন রাজ্য প্রশাসন, পুরসভা, পঞ্চায়েত বা কোন জনপ্রতিনিধি সুপারিশ করেন, তবে সেই সুপারিশ গ্রাহ্য বলে বিবেচিত হবে না। এভাবেই নির্বাচনের পূর্বে দেওয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে উপকৃত হতে চলেছেন রাজ্যের বহু মহিলা।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!