এবার দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের কড়া হুঁশিয়ারি মমতার, কাজ হবে কি উঠছে প্রশ্ন ? কলকাতা পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজ্য February 12, 2020 গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবির পেছনে সবথেকে বড় কারণ হিসেবে দাঁড়িয়েছিল, দলের নেতাদের দুর্নীতি। ফলাফল বিশ্লেষণে সেই কারণ উঠে আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের রণনীতিকার করেন ভোটগুরু বলে পরিচিত প্রশান্ত কিশোরকে। আর প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের নেতাদের বিলাসী আচরণ, দুর্ব্যবহার এবং দূর্নীতি রুখতে সচেষ্ট হন। তবে তা সত্ত্বেও, তৃণমূলের নেতাদের দুর্নীতি রোখা যায়নি। সম্প্রতি তপনের বিধায়ক তথা রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাসদার প্রাসাদোপম বাড়ি নিয়ে নানা মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। যেখানে সই মন্ত্রীকে তার বাড়ির ছবি দেখিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। অন্যদিকে রামপুরহাট পৌরসভার দুর্নীতি নিয়েও সম্প্রতি সরব হয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আর দিকে দিকে তৃণমূলের তরফে সতর্ক করার পরেও, যেভাবে নেতাদের দুর্নীতি চলছে, তা যে দলকে বিপাকে ফেলবে, তা ভালই বুঝতে পেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাইতো এবার বাঁকুড়ার কর্মী সম্মেলন থেকে এই ব্যাপারে দলের নেতৃত্বদের সতর্ক করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যারা নিজেদের ছাড়া কাউকে ভালোবাসে না, তারা আমার নজরে রয়েছে। দলের কর্মীরাই সম্পদ। নেতারা নয়। যে কর্মী বুথ এজেন্ট হয়ে সাইকেল নিয়ে দরজায় দরজায় যান, তাকে আমি সবথেকে বেশি ভালোবাসি।” আর এরপরই কারোর নাম না নিয়ে দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের সতর্ক করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেন যে, যারা নিজেদের স্বার্থ বোঝে, তাদের তিনি পছন্দ করেন না। এদিকে নেতাদের কিভাবে চলতে হবে, বাঁকুড়ার কর্মী সম্মেলন থেকে সেকথাও জানিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, “জনগণের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। তাদের ডাকে সাড়া দিতে হবে। খুব জরুরী না হলে রাত 11 টা থেকে সকাল আটটা সময়টুকু বাদ দিয়ে বাকি সময় সাধারণ মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে।” সব মিলিয়ে এবার দলে দুর্নীতি রুখতে একগুচ্ছ বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই বার্তা আদৌ কাজে দেয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -