নেত্রীর নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে মাঠে নামতেই দলীয় বিধায়কদের কড়া বার্তা তৃণমূলের! ধন্দে জনপ্রতিনিধিগন কলকাতা রাজ্য June 13, 2020 করোনা সংকটের কারণে গত ২৪ শে মার্চ থেকে রাজ্যজুড়ে লকডাউন শুরু হয়। সেই সময় থেকেই বন্ধ সমস্ত সরকারি বেসরকারি স্কুল কলেজ। কিন্তু বেসরকারি স্কুলগুলোতে প্রতি মাসে ফি বৃদ্ধির অভিযোগ বারংবার প্রকাশ্যে আসছে। বেসরকারি স্কুলের ছাত্রদের অভিবাবকদের দাবি অনলাইন ক্লাস করানো হলেও তা স্কুলের মতো নির্দিষ্ট সময় ধরে হচ্ছে না। তাই বেসরকারি স্কুলগুলোর ফি বৃদ্ধি নিয়ে অভিভাবকদের বিক্ষোভ বাড়তেই থাকে। এর মধ্যেই অভিভাবকদের হয়ে কথা বলার জন্য মাঠে নেমে পড়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু রাজ্যের শীর্ষনেতাদের তরফে এলাকার নেতা মন্ত্রীদের এ বিষয়ে কোন রকম মন্তব্য করতে বা মাথা না গলানোর কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে এলাকার বিধায়কদের উদ্দেশ্যে বেসরকারি স্কুলের ফি বৃদ্ধি নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে ছড়াতে বারণ করা হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে কোন বিধায়কের যেন এ বিষয়ে কোনো ভূমিকা না থাকে। সমগ্র বিষয়টিতে কেবলমাত্র শিক্ষা দপ্তরের হস্তক্ষেপ থাকবে বলে জানা গেছে।বর্তমানে বেসরকারি স্কুলগুলোতে ফি বৃদ্ধি শুধুমাত্র কলকাতা বলেই নয় রাজ্যের জেলায় জেলায় এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ বিষয়ে সরাসরি জানিয়েছেন,”এই নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের দুশ্চিন্তা করতে হবে না। সরকারের সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন। কোথাও ফি বৃদ্ধি করা হবে না।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একদিকে লকডাউন এদের কাজ বন্ধ। কার্যত ফি বৃদ্ধির কারণে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন অনেকেই। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এলাকা তৃণমূল কর্মীরা এ বিষয়ে মাথা গলার এই সমস্যা আরোও মাথাচাড়া দিচ্ছে বলে জানা গেছে। একেই আমফানের পরবর্তী পরিস্থিতিতে স্বজনপোষণের দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের দিকে অনেকবারই উঠেছে তার ওপর স্কুলের ফি বৃদ্ধি নিয়ে দলের নেতাদের হস্তক্ষেপ। জানা গেছে বিষয়টিতে মোটেই খুশি হচ্ছেন না অভিভাবকরা। প্রসঙ্গত সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কোনভাবেই গুটি হারাতে চায় না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী ফি বৃদ্ধির বিষয়টি এই মুহূর্তে যথেষ্টই স্পর্শকাতর আর তাই দলের তরফে এই সময় বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে বার বার মানা করা হচ্ছে। তবে বিরোধী দলের ধারণা অনুযায়ী এর পিছনে অন্য কোনো কারণও থাকতে পারে। সমগ্র বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ঝড় উঠেছে। কিন্তু এই নিয়ে হতবাক জনপ্রতিনিধিরা। তাদের বক্তব্য তারা তো নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে মান্যতা দিয়েই রাস্তায় নেমেছিলেন, তাহলে তাদের উপর এমন কড়া নির্দেশ এলো কেন? কারণটা অনেকেই জানা নেই। যা নিয়ে অন্দরে ক্ষুব্ধ নেতা নেত্রীরা। আপনার মতামত জানান -