এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পদ থেকে অপসারিত নেত্রী, জোর চাঞ্চল্য রাজ্যে

পদ থেকে অপসারিত নেত্রী, জোর চাঞ্চল্য রাজ্যে


বর্তমানে কংগ্রেসের সংগঠনের অত্যন্ত দুর্বল এই বাংলায়। 2016 সালে তারা সংখ্যার বিচারে বিরোধী দলের মর্যাদা পেলেও, বর্তমানে রাজ্যের বিরোধীদলের জায়গা দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। একের পর এক নির্বাচনে লড়াই হচ্ছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। আর এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক কর্মসূচি নেওয়া তো দূর অস্ত, বরঞ্চ সংগঠন কাঠামো পরিবর্তন করতে গিয়ে রীতিমতো বিপাকে পড়তে হল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসিকে।

সূত্রের খবর, রবিবার দার্জিলিং জেলা কার্যালয়ে উত্তরবঙ্গের আট জেলার নেতাদের নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের প্রদেশ সভাপতি মহম্মদ কামরুজ্জামান কামার। যেখানে দীর্ঘক্ষন ধরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সংগঠনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। আর তারপরেই দুপুরে বিভিন্ন জেলার সংগঠনের চেয়ারম্যান এবং সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়। যেখানে মালদহ জেলার সংগঠনের চেয়ারম্যান পদে কাজী নজরুল ইসলাম এবং সভাপতি পদে লক্ষী গুহর নাম ঘোষণা করেন প্রদেশ কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি।

এদিকে চেয়ারম্যান হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের নাম ঘোষণা করার পরই তার নামে বিস্ফোরক অভিযোগ করতে থাকেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি লক্ষী গুহ। যেখানে তিনি বলেন, “সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে নজরুল নানা অপকর্ম করেছেন। বহুবার তথ্য-প্রমাণ সমেত এই ব্যাপারে সংগঠনের নেতাদের কাছে জানানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও অভিযুক্তকে সংগঠনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে প্রকাশ্যে লক্ষীদেবী এভাবে দলের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় রীতিমতো শোরগোল তৈরি হয়। আর এর কিছুক্ষণ পরেই মালদহ জেলার সভাপতি পদ থেকে লক্ষীদেবীকে সরিয়ে দেয় প্রদেশ নেতৃত্ব। আর দলের পদ দিয়েও কিছুক্ষণের মধ্যেই এভাবে কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি পদ থেকে লক্ষী গুহকে সরিয়ে দেওয়ায় এখন রীতিমত নানা মহলে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। তাহলে কি নজরুল ইসলামের বিরোধিতা করাই লক্ষী গুহের সবথেকে বড় কাল হল! আর তাই তাকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল!

এদিন এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির প্রদেশ সভাপতি মহম্মদ কামরুজ্জামান কামার বলেন, “সংগঠনের মালদহের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বলে উনি মিটিংয়ে জানিয়েছিলেন। তাকে জানানো হয়েছিল ওই অভিযোগ লিখিতভাবে জানাতে। তা খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু তা না করে প্রকাশ্যে যা করেছেন, তা সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপ। তাই সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাকে পদ থেকে অপসারিত করা হল। সংগঠনে আলোচনা করার পর তার বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন নিজেদের মধ্যে শৃঙ্খলা রাখতে জেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা সভাপতির বিস্ফোরক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৎক্ষণাৎ সভাপতিকে পদ থেকে অপসারিত করল। কিন্তু এতে করে কংগ্রেসের ভেতরকার শৃঙ্খলা রক্ষার বদলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই প্রকাশ্যে চলে এল বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। এখন পদ থেকে অপসারিত নেত্রী দলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে কোনো পরবর্তী পদক্ষেপ নেন কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!