এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলের হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ শাসকদলের নেতাদের! জোর শোরগোল !

দলের হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ শাসকদলের নেতাদের! জোর শোরগোল !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রধান ইস্যু ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি। ভয়াবহ দুর্যোগের পর বিভিন্ন জায়গায় শাসকদলের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এক্ষেত্রে নিজের আত্মীয় পরিজন থেকে শুরু করে নিজের নাম ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় ঢুকিয়ে দেওয়ার মত মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের প্রধান থেকে শুরু করে অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে। এতদিন বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই ঘটনাটি ইস্যু করে শাসক দলকে বিড়ম্বনায় ফেলার প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করেছিল রাজ্যবাসী। কিন্তু এবার তৃণমূলের প্রধানদের কটাক্ষে বিদ্ধ হতে হল তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে। যার ফলে বিরোধীরা যেমন হাতে নতুন অস্ত্র পেয়ে গেল, ঠিক তেমনই শাসকদল অত্যন্ত বিড়ম্বনায় পড়ল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

জানা যায়, আমতা 2 নম্বর ব্লকের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি সহ আগাম বন্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটি বৈঠক ডাকেন ভিডিও আসিক ইকবাল। আর সেখানেই প্রশাসনিক আধিকারিক স্থানীয় বিধায়ক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং জেলা পরিষদের সদস্যদের ডাকা হয়। কিন্তু সেই সভায় অধিকাংশ পঞ্চায়েত প্রধান, বিধায়ক এবং দুজন সরকারি আধিকারিক উপস্থিত হলেও বিডিওর তরফ থেকে বিশেষ কারণে সভা বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

এদিকে সভা বাতিলের খবর পেয়ে রীতিমত বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রধানরা সরব হন। তাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল প্রধানদের অন্ধকারে রেখে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করেছেন। আর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে তৃণমূলের পঞ্চায়েতের প্রধানদের এই অভিযোগকে ঘিরে এখন রীতিমত টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এলাকাজুড়ে।

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃনমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্তবাবুর বিরুদ্ধে সরব হয়ে আমতা 2 নম্বর ব্লকের তাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গোলাম খাঁ বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে তাদের নামের তালিকা করে বিডিও অফিসে জমা করেছি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে জানতে পারছি সেই তালিকা বাতিল করে নতুন তালিকা তৈরি হয়েছে। কোথা থেকে নতুন তালিকা হল এবং সেই তালিকায় কাদের নাম আছে, এই বিষয়ে বিডিওর কাছে জানতে চেয়েছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই ব্যাপারে থলিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান ফজিলা মন্ডল বলেন, “ক্ষতিগ্রস্তরা বারেবারে পঞ্চায়েতে ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন। কিন্তু আমরা কিছু করতে পারছি না। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল যে সমস্ত মানুষের ক্ষতি হয়নি, তাদের ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দিচ্ছেন। প্রধানদের তিনি কোনো কাজ করে দিচ্ছেন না।” অর্থাৎ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্তবাবুর বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্র চালানোর অভিযোগ করছেন তৃণমূল পরিচালিত বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রধানরাই। ফলে সুকান্তবাবু যে নিজের দলের প্রধানদের দ্বারাই এখন কার্যত কোণঠাসা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

যেখানে বিরোধীরা তৃণমূলকে এমনিতেই দুর্নীতিকে ইস্যু করে কটাক্ষ করছে, সেখানে তৃণমূলের প্রধানরা যেভাবে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে কটাক্ষ করলেন, তাতে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। যদিও বা এই প্রসঙ্গে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে দিয়েছেন সুকান্ত পাল। তিনি বলেন, “আমি কোনো রকম দরখাস্ত জমা নিইনি। আমার নামের সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। এর সঙ্গে আমার কোনো যোগ নেই। এই বিষয়গুলো বিডিও দেখেন।”

এদিকে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন আমতা 2 ব্লকের বিডিও আসিক ইকবাল। এখন তৃণমূল চাইছে, কোনরকমে বিরোধীদের কটাক্ষ থেকে মুক্তি পেতে। কিন্তু বিরোধীরা যত পারবে, ততই তৃনমূলকে চেপে ধরবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে তৃণমূল যেভাবে নিজেদের দলের জনপ্রতিনিধিদের দ্বারাই বিপাকে পড়ছে, তাতে চাপ বাড়ছে শাসকদলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!