এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কামানোয় অভ্যস্ত নেতাদের সতর্ক! জোর করে পৌরসভা দখলের পরিকল্পনা বাদ দিতে বললেন ফিরহাদ হাকিম!

কামানোয় অভ্যস্ত নেতাদের সতর্ক! জোর করে পৌরসভা দখলের পরিকল্পনা বাদ দিতে বললেন ফিরহাদ হাকিম!


 

কোনো দলের অন্দরে ক্ষমতার জাকিয়ে বসলে, তার পরিস্থিতি যে কতটা ভয়ানক হতে পারে, তা হয়ত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর উপলব্ধি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। একদিকে দলীয় নেতাদের দুর্নীতি আর অপরদিকে মানুষকে ভোট দিতে না দেওয়ার অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে নতুন কিছু নয়। পঞ্চায়েত থেকে পৌরসভা, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলতে দেখা যায় বিরোধীদের।

শুধু তাই নয়, অনেক ক্ষেত্রে সেই অভিযোগ বাস্তব রূপ পেয়েছে বলেও দাবি একাংশের। আর এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনের পর দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে যখন একগুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে তৃণমূল কংগ্রেস, ঠিক তখনই আগামী পৌরসভা নির্বাচনে দখলদারি যাতে না হয়, তার জন্য সকলকে সতর্ক করে দিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

সূত্রের খবর, পরিদর্শকের দায়িত্ব পাওয়ার পর রবিবার প্রথম হুগলি জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী। আর সেখানেই তিনি স্পষ্ট ভাষায় সকলকে বলেন, “কোনভাবেই ভোটে দখলের রাজনীতি করা যাবে না। মানুষের সমর্থন নিয়ে যেতে হবে। জোর করে ভোট করলে জনমানসে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়। মানুষের আস্থার মর্যাদা দিতে হবে। বাংলার মানুষের কাছে তৃণমূলের বিকল্প তৃণমূলই। তাই নেতৃত্বকে সদর্থক পদক্ষেপ করতে হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্যের পুরমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য এখন ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে বিভিন্ন মহলে। কেননা ফিরহাদ হাকিম এই কথা বলে কার্যত এক প্রকার স্বীকার করে নিয়েছেন যে, অতীতের নির্বাচনগুলিতে তৃণমূল নেতাকর্মীরা কিছুটা হলেও, দখলের রাজনীতি করেছে। তাই সেদিক থেকে ভবিষ্যতে ভোটে যদি এই কাজ করা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের যে সমর্থন পাওয়া যাবে না, তা ফিরহাদ হাকিমের এদিনের কথা থেকেই স্পষ্ট হয়ে গেল বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

পাশাপাশি জেলায় কোনো নেতা যাতে দুর্নীতি না করেন, তার জন্যও এদিনের বৈঠক থেকে সকলকে সতর্ক করে দেন ফিরহাদ হাকিম। তবে জেলা পরিদর্শক তথা রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর সামনে এদিন হুগলিতে তৃণমূলের অন্তর্কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। যাতে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েন ফিরহাদ হাকিম।

সূত্রের খবর, একপ্রকার ক্ষুব্ধ হয়েই একসময় দলের এক বিধায়ককে ঘর থেকে বের করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী। তবে দলকে স্বচ্ছ করবার জন্য সাধারণ মানুষের অধিকার হরণ করা না হয় এবং যাতে দুর্নীতি করা না হয়, তার জন্য পুরমন্ত্রী এদিন যা বার্তা দিলেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত বিশ্লেষকদের। এদিন এই প্রসঙ্গে এক তৃণমূল নেতা বলেন, “ফিরহাদ যেমন জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের বার্তা দিয়েছেন, তেমনই সভাপতির বাড়বাড়ন্ত রুখে দিয়েছেন।”

এদিকে এদিনের এই বৈঠক প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “দলের বৈঠকের বিষয়ে বাইরে কোনো কথা বলা সমীচীন নয়। তবে দলের নির্দেশে আগে পদক্ষেপ করেছি। এখনও পদক্ষেপ করব।” সব মিলিয়ে আগামী পৌরসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে কামাই করা নেতাদের সতর্ক করে, মানুষের ভোট মানুষকেই দিতে হবে বলে তৃণমূল নেতাদের হরণের ক্ষমতাকে ধুলিস্যাৎ করে দেওয়ার চেষ্টা করলেন ফিরহাদ হাকিম।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!