ক্ষমতা হারানোর ভয়ে বিদেশিদের কাছে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক May 28, 2018 “গণতন্ত্র ধ্বংস করে, দেশের বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করে বন্দুকের জোরে আর ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না।” এমনভাবেই অভিযোগের তীরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিঁধলেন এদিন বিএনপির প্রবীন নেতা রুহুল কবির রিজভী। নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বসে তিনি আরো জানালেন যে, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে শেখ হাসিনা বিদেশিদের কাছে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে,তাও আবার নিজের দেশের জনগনকে বাদ দিয়ে। কারণ তিনি নাকি বুঝতে পেরেছেন যে তাঁর সন্ত্রাসের রাজনীতির অন্তিমলগ্ন উপস্থিত। মানুষ মারমুখী হয়ে আছে তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে। কিন্তু কেন এভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধো তোপ দাগলেন রিভজী? আসুন জেনে নেওয়া যাক্। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক প্রয়াসে পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লিতে নির্মিত হল ‘বাংলাদেশ ভবন’। সেটাই উদ্বোধন করতে বাংলাদেশ সরকারকে এদিন পাড়ি দিতে হল শান্তিনিকেতনে। তারপর দিনই তাকে ‘ডি-লিট’ সম্মানে সম্মানিত করা হয় আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। শেখ হাসিনার এই পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা নিয়ে নানাভাবে সমালোচনা করলেন রিভজী। সমালোচনায় উঠে এসেছে তাঁর আরো কিছু মতামত। তিনি জানান যে সরকারি অর্থ ব্যয় করে নিজের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতেই বঙ্গে এসেছিলেন শেখ হাসিনা। তিনি অভিযোগ তুলে আরো বলেন যে, দেশের মানুষের কথা না ভেবে,সার্বভৌমত্বকে পা দিয়ে মাড়িয়ে শান্তিনিকেতন গেলেন হাসিনা। উজার করে দিলেন আর্থিক সাহায্য তাও ট্রানজিটসহ ভারতেও। বিনিময়ে ভারতই উর্বর হল আর বাংলাদেশের হাতে ধরালেন খুড়োর কল। গণমাধ্যমগুলোতেও সাফ উঠে এসেছে একথাই যে তিনি দেশের স্বার্থে ভারত সফর করেননি,তিস্তার জলের জন্য বা সীমান্তবর্তী বাংলাদেশিদের বিনা কারণের রক্তপাত থামানোর আর্জি নিয়েও তিনি যাননি। তিনি গেছিলেন তাঁর নিজের স্বার্থে, নিজের বন্দুক রাজনীতি টিকিয়ে রাখার সাহায্য নিতে। এমনটাই জানাচ্ছে রাজনৈতিক সূত্রের খবর। আপনার মতামত জানান -