এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বিধানসভার আগে করোনা জুজুতে কোনঠাসা হেভিওয়েট নেতারা পুজোয় জনসংযোগের জন্য বিকল্প পথের সন্ধানে?

বিধানসভার আগে করোনা জুজুতে কোনঠাসা হেভিওয়েট নেতারা পুজোয় জনসংযোগের জন্য বিকল্প পথের সন্ধানে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের কারণে সেই দুর্গোৎসবের আনন্দতে যথেষ্ট ভাটা পড়েছে। সেভাবে প্যান্ডেল হপিং নেই। তবে প্রতিবার সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছোতে এই দুর্গোৎসবকে হাতিয়ার করে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। কিন্তু এবার ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু সামনেই বিধানসভা নির্বাচন।

তাই যতটা সম্ভব করা যায়, ঠিক ততটাই জনসংযোগের প্রস্তুতি নিতে দেখা যাচ্ছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিরোধী দল বিজেপিকে। তবে করোনা ভাইরাসের মুহূর্তে জনসংযোগ সেভাবে না করলেও সামাজিক দূরত্ব পালন করেই যে জনতার সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করবেন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা, তা তাদের কথাতেই পরিস্কার।

এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, “পুজোর দিনগুলোতে বিভিন্ন এলাকায় যাব। নাগরিকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করব। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই সমস্ত কিছু করা হবে। আমরা মানুষের প্রতিনিধিত্ব করি। ফলে উৎসব-পার্বণে তাদের থেকে দূরে সরে থাকতে পারি না। এবার করোনার বিধিনিষেধ মেনে যতটুকু সম্ভব, জনসংযোগ কর্মসূচিতে অংশ নেব।” তবে বিজেপি যখন এই জনসংযোগের পদ্ধতিকে বেছে নিয়েছে, তখন সেখান থেকে পিছিয়ে নেই তৃণমূল কংগ্রেসও।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, “কয়েকটি জায়গায় দলের পক্ষ থেকে শিবির খোলা হবে। পানীয় জল, মাস্ক এবং স্যানিটাইজার দেওয়া হবে। তবে এই স্টলগুলোতে অন্যান্যবারের মত ভিড় করতে দেওয়া হবে না। নির্দিষ্ট বিধি মেনে রুটিন করে নেতাকর্মীরা অল্প সংখ্যায় উপস্থিত থেকে মানুষকে পুজোর দিনগুলোতে সাহায্য করবেন। আমরা সারা বছর মানুষের সঙ্গে থাকে। ফলে বিশেষ জনসংযোগের প্রয়োজন হয় না‌। উৎসবে মানুষের সঙ্গে শামিল হয়ে দিনগুলো আনন্দে কাটিয়ে থাকি।” অর্থাৎ তৃণমূল এবং বিজেপি করোনাভাইরাস থাকলেও মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করতে যে উদ্যত হবে, তা তাদের কথা থেকেই উঠে এল।

তবে তৃণমূল এবং বিজেপি জনসংযোগের পদ্ধতিকে বেছে নিলেও, সেখান থেকে পিছিয়ে নেই বাম এবং কংগ্রেস। জানা গেছে, সম্প্রতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী। স্বাভাবিক ভাবেই চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি বাড়িতেই থাকবেন। তবে তার ছেলে তথা কংগ্রেস বিধায়ক ইশা খান চৌধুরী পুজোর দিনগুলোতে স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি মেনে জনসংযোগে সামিল হবেন বলে খবর।

একইভাবে মানুষের সঙ্গে থেকেই তারা এবারের পুজো স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাটাবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন মালদহ জেলা সিপিএমের সম্পাদক অম্বর মিত্র। এদিন তিনি বলেন, “মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সারা বছর কর্মসূচি গ্রহণ করি। দুর্গাপূজা উপলক্ষে ষষ্ঠীর দিন ইংরেজবাজার শহরের ফোয়ারা মোড়ে বুক স্টলের উদ্বোধন হবে। সেখানে বসে দলের নেতারা মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। নেতারা মানুষের অভাব অভিযোগ শুনবেন। তবে সবকিছুই করোনা বিধিকে মান্যতা দিয়ে হবে।”

অর্থাৎ মালদহ জেলার শাসক থেকে বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দল দুর্গাপুজোকে জনসংযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বেছে নিতে শুরু করেছেন। তাই করোনা ভাইরাসের সময় এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগকেই তারা প্রধান অস্ত্র হিসেবে বেছে নিল বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!