এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মন্ত্রীর ডাকা কর্মসূচিতে গরহাজির একাধিক দলীয় সাংসদ-বিধায়ক, কোচবিহার নিয়ে বাড়ছে অস্বস্তি

মন্ত্রীর ডাকা কর্মসূচিতে গরহাজির একাধিক দলীয় সাংসদ-বিধায়ক, কোচবিহার নিয়ে বাড়ছে অস্বস্তি


গত বৃহস্পতিবারই দলের কোর কমিটির বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারের দলীয় কোন্দল মেটাতে এলাকার সব নেতাকে একযোগে কাজ করতে বলেছিলেন। কিন্তু নেত্রীর নির্দেশে সাময়িক মাথা নাড়লেও আদতে যে কাজের কাজ কিছুই হয়নি তা ফের প্রমান করে দিলেন কোচবিহারে ঘাসফুলের নেতারা। সূত্রের খবর, শুক্রবার দেশজুড়ে পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির জেরে একটি প্রতিবাদ সভা ও অবস্থান বিক্ষোভের আয়োজন করে জেলা তৃনমূল কংগ্রেস।এই প্রতিবাদের নেতৃত্ব দেন কোচবিহার জেলা তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

কিন্তু আশ্চর্য্যজনকভাবে জেলায় দলের এহেন কর্মসূচিতে দেখাই গেল না জেলারই লোকসভার সাংসদ প্রার্থপ্রতীম রায় ও বিধায়ক মিহির গোস্বামী ও অর্ঘ্য রায়প্রধান-কে । তবে অনুপস্থিতির কারন হিসাবে বৃহস্পতিবারের দলীয় মিটিংয়ের পর এখনও কোলকাতা ছাড়তে পারেননি বলে জানিয়েছেন জেলার এই নেতারা। অন্যদিকে জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, ” যাঁরা এই কর্মসূচীতে এসেছেন তাঁরাই প্রকৃত তৃনমূল কর্মী।” তবে এদিনের সভায় বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ন বর্মন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। তৃনমূলের একাংশের মতে, তৃনমূলের জেলা সভাপতি রবি ঘোষ ও জেলার সাংসদ প্রার্থপ্রতীম রায়ের সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। কিছুদিন আগেই রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দেওয়ানহাটে দলের যুব কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। আরএরপরই প্রার্থপ্রতীম রায়কে টিকিট না দেওয়ার আবেদন জানান দলকে।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তবে তৃনমূলের শীর্ষনেতৃত্বের তিরস্কারে পিছু হটে এই রবীন্দ্রন্থ ঘোষই পরে অবশ্য বলেন, “দল যাকে প্রার্থী করবে তাঁকে পাঁচ লক্ষের বেশি ভোটে জেতাব। কর্মীরা প্রার্থীকে দেখে নয়, নেত্রীর উন্নয়ন দেখে ভোট দেবেন।” তবে এতসফের পরে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় সবাইকে একসাথে কাজ করার বার্তা দিচ্ছেন তখন নেত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে এই প্রতিবাদ সভায় জেলারই এক সাংসদ ও দুই বিধায়কের অনুপস্থিতি ভালো চোখে নিচ্ছেন না এলাকার তৃনমূল কর্মীরা। অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন সাংসদ প্রার্থপ্রতীম রায়। তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার সভা সেরে কোলকাতায় একটি জরুরি কাজে থাকতে হয়েছে, তাই মেখলিগঞ্জের ওই সভায় যেতে পারিনি।” অন্যদিকে এই সভায় অনুপস্থিত মেখলিগঞ্জেরই বিধায়ক অর্ঘ্য রায়প্রধান বলেন, “ব্যাক্তিগত কাজে কোলকাতায় আছি। তাই যেতে পারিনি।” তবে অনুপস্থিত আর এক বিধায়ক মিহির গোস্বামীর সাথে যোগাযোগই করা যায়নি । এদিনের এই প্রতিবাদ সভা থেকে তৃনমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বিজেপির দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে বলেন, ” দিলীপ বাবুর মোটা মাথা গরম হয়ে গেছে, তাইতো উনি তৃনমূল কর্মীদের এনকাউন্টার করার কথা বলছেন। এরপর উনি যদি কোচবিহারে আসেন তাহলে ওনার মাথা ঠান্ডা করতে সাগরদিঘীর জলে চুবিয়ে রাখা হবে।” অপরদিকে এ নিয়ে এ জেলার বিজেপি সহ সভাপতি ব্রজগোবিন্দ বর্মন বলেন, ” রবিবাবুর বয়স বেড়েছে। তাই উল্টোপাল্টা বকছেন।” সব মিলিয়ে শাসক বিরোধীর মধ্যে এই তরছা চললেও কোচবিহার জেলার তৃনমূলের অন্দরে যে নেত্রীর নির্দেশের পরেও কোনো সমস্যাই মেটেনি তা মানছেন জেলার তৃনমূল কর্মী সমর্থকেরাও।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!