এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিতেই জুটল বড়সড় পদ, তীব্র ক্ষোভ আদিদের

বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিতেই জুটল বড়সড় পদ, তীব্র ক্ষোভ আদিদের


বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রার্থীদেরই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে শাসকদল। নতুন দলে মিলছে তাঁদের যথাযোগ্য সম্মান। এমনকি তৃণমূলের দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধাদের পদগুলোর দায়িত্বে বিজেপি থেকে আসা সদস্যদের দিতেও দ্বিধা করছে না তৃণমূল নেতৃত্বরা। এ নিয়ে বেজায় মনকষাকষি তৃণমূলের আদিদের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে এমনই নজির প্রকাশ্যে এল। কথা ছিল কর্মাধ্যক্ষের পদটি দেওয়া হবে তৃণমূলের পুরানো কর্মী মকদুম আজম মুকুলকে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেটি হল না। দায়িত্বটি দেওয়া হল সদ্য বিজেপি থেকে আসা এক সদস্যকে। এতেই বেজায় চটে যায় দলের পুরাতন কর্মীরা। দলের পুরানো কর্মী মকদুম আজম মুকুলকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে দলের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য,বিজেপি থেকে সদস্যদের দল ভাঙিয়ে আনার দরকারই ছিল না। তৃণমূলেই প্রয়োজনমতো সদস্যরা রয়েছে। এদিনের পঞ্চায়েত সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এল।

জেলা সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে,বিগত মাস খানেক আগে মকদুম আজমকে বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত করা হবে এমনটাই লিখিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ব্লক সভাপতি তাজমুল হোসেনের উপস্থিতিতে। আরো আটজনকে বিভিন্ন কর্মাধ্যক্ষ পদে বসিয়ে এ লিখিত প্রস্তাব নেওয়া হয়। কিন্তু পঞ্চায়েত সমিতি গঠনের সময় কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্বটি চলে যায় বিজেপি থেকে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া সদস্যটির কাছে। এর পর অসন্তোষ প্রকাশ করে তৃণমূলের দলীয় সদস্যদের একাংশ বেঁকে বসে। ফলত স্তগিত হয়ে যায় কর্মাধ্যক্ষ গঠন প্রক্রিয়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মকদুম আজমকে অন্য একটি পদ দিতে চাইলে তিনি তা নিতে আপত্তি জানান। পরে তাকে বাদ দিয়েই কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন করা হয়। বাদ পড়ে যাওয়া মকদুম আজমের বক্তব্য,দীর্ঘদিন ধরে দলের হয়ে কাজ করে পরিনামে এটা পেলেন তিনি। এতে তিনি চূড়ান্ত অপমানিত বোধ করেছেন বলেই জানান তিনি। তিনি আরো জানান,কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করার পর্যাপ্ত সংখ্যা ছিল তৃণমূলের কাছে। বিজেপি থেকে দল ভাঙিয়ে সদস্য আনার দরকারই ছিল না। তিনি গোটা বিষয়টাই জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে।

এদিকে এই ইস্যুতে কিছু করতে না পারার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন ব্লক সভাপতি তাজমুল হোসেন। তাঁর বক্তব্য,রাজনৈতিক পরিস্থিতি এতোটাই প্রতিকূল ছিল যে বিজেপি থেকে আসা সদস্যকেই কর্মাধ্যক্ষের পদটি দিতে হত। তবে মকদুম আজমকে বিকল্প পদ দিতে চাইলে তিনি তা গ্রহন করেননি বলেও জানালেন তিনি। তবে এ বিষয়ে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি দলের তদানীন্তন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তথা বর্তমান কার্যকারী সভাপতি দুলাল সরকার (বাবলা)। তিনি বাইরে থাকায় ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত নন,এমনটাই জানালেন।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

উল্লেখ্য,তৃণমূল সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, মকদুম আজম দীর্ঘদিনের কর্মী তৃণমূলের। এবারের পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচনে বহু ভোট পেয়ে তিনি জিতেছেন। অথচ তাঁর সেই সম্মানটা রাখেনি তাঁরই দল। একটি পদের দায়িত্ব তাকে দেওয়ার লিখিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও বিজেপি থেকে আসা প্রার্থীকে সেই পদটি দিয়ে দেওয়া হয়। এতে তিনি তো চূড়ান্ত অসন্তুষ্ট হয়েছেনই,এমনকি তাঁর সঙ্গে বিক্ষোভ জানিয়েছেন দলীয় কর্মীদের একাংশ। গোটা ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এর জেরে তৃণমূলের মতানৈক্য সামনে এসেছে। এরকম পরিস্থিতি তৃণমূলের বেশ কিছু পুরাতন কর্মী যদি দলত্যাগ করে তাহলে অস্বাভাবিক কিছু হবে না। সেরকমই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো বারবার দলীয় কর্মীদের কড়া নিদান দিয়ে লোকসভা ভোটের আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে লাগাম কিছুতেই টানা যাচ্ছে না। এই ইস্যুতে দলের অন্দরেই তীব্র চাপানউতের শুরু হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!