বাম-বিজেপি একজোট হয়ে হয়ে হামলা চালাল তৃণমূল কর্মীদের উপর অভিযোগ শাসকদলের রাজ্য April 25, 2018 কুশমন্ডি থানার মহিপাল এলাকায় মঙ্গলবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে আক্রমনের অভিযোগ উঠলো বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে এদিন শাসকদলের মহিপাল এলাকার দলীয় কার্যালয়ে গেরুয়া শিবিরের দলীয় সদস্য ও সমর্থকেরা আচমকা ঢুকে পড়ে এবং সেখানে উপস্থিত তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কর্মীদের ওপরে শারীরিক নিগ্রহ করে এবং কার্যালয়ে ভাঙচুর করে। এই ঘটনায় কুশমন্ডি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিঠু জোয়াদ্দারের স্বামী তৃণমূলের রিতেশ জোয়াদ্দার গুরুতর জখম হয়েছেন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে অন্যদিকে স্থানীয় মহিপাল এলাকাতেও তৃণমূলের কর্মী তথা পঞ্চায়েত সদস্যের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রের খবর অনুয়ারী উদয় পঞ্চায়েতের সদস্য তৃণমূলের কৃষ্ণ বসাক মহিপালে তাঁর দোকানে বসে ছিলেন। হঠাৎ সেখানে একদল দুষ্কৃতী চড়াও হয়ে এবং এলোপাথারি মারধর করে পালিয়ে যায়। অভিযোগ উঠেছে গেরুয়া শিবিরের দিকে। দুটি বিচ্ছিন্ন হামলার ঘটনার গুরুতর আহত রিতেশ জোয়াদ্দার ও কৃষ্ণ বসাক দুইজনকেই গঙ্গারামপুর সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই দুই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্যে এলাকায় পুলিশ বাহিনী বহাল করা হয়েছে। এই ঘটনায় বিজেপি শিবিরের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ তারা অস্বীকার করেছে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বললেন, সোমবার মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার নাম করে বিজেপি ও বামেরা একজোট হয়ে মিছিল বের করেছিল। তিনি অভিযোগ এনে বললেন সেই মিছিল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও তৃণমূলের নামে গালিগালাজ ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল।দলীয় কর্মীরা তার প্রতিবাদ করায় মঙ্গলবার সকালে বিজেপি সিপিআইএম ও আরএসপির লোকেরা একজোট হয়ে কুশমন্ডি ব্লক তৃণমূল কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন। কার্যালয়ে উপস্থিত পঞ্চায়েত কর্মীদের বেধড়ক ভাবে মারধোরও করা হয়েছে। একই ঘটনা ঘটেছে পাশেই অবস্থিত মহিপাল এলাকাতেও। সেখানেও দলীয় কর্মী তথা পঞ্চায়েতের সদস্যর দোকানে হামলা চালিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটিয়েছে বিরোধীরা। এই দুই বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা জানিয়ে পার্শ্ববর্তী থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অবশ্য এই ঘটনাকে একরকম বিদ্রুপ করেই জেলা বিজেপির সভাপতি শুভেন্দু সরকার বললেন,এই বিষয়টা ঠিক যেন চোরের মায়ের বড় গলা। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে তৃণমূল ভীষণ ভাবে চিন্তিত। যে কারণে বিরোধীদের মনোনয়ন দিতে দেওয়া হচ্ছে না। মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের লোকেরা তাঁদের উপর যেভাবে হামলা ও মারধোর করেছে তা সাধারণ মানুষ সকলেই লক্ষ্য করেছেন। উলটে তিনি প্রতি অভিযোগ জানিয়ে বললেন ,”সাধারণ মানুষের সহানুভূতি আদায়ের বৃথা চেষ্টায় মিথ্যে গল্প ফেঁদেছেন তৃণমূলের কর্মীরা।” আপনার মতামত জানান -