একদিকে বামেদের অধিকার যাত্রা, অন্যদিকে সংখ্যালঘুদের মহামিছিল – আজ কি শহর অবরুদ্ধ? রাজ্য October 2, 2018 একগুচ্ছ রাজনৈতিক কর্মসূচির জেরে অবরুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আগামীকাল ধর্মতলা চত্বরে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ বামসংগঠনগুলোর যৌথ মঞ্চ বিপিএও-র অধিকার যাত্রার সমাপ্তি কর্মসূচি উপলক্ষ্যে কোলকাতায় এসে পৌছাবেন। লালবাজারের সম্মতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শহীদমিনার ময়দানে জমায়েত হবেন তাঁরা। সকাল ১১ টার পর থেকেই কোলকাতার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাজপথে ব্যাপক জানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে উত্তর,দক্ষিণ কোলকাতা এবং হাওড়া থেকে আসা ধর্মতলা অভিমুখী মিছিলগুলোর কারণে। একইদিনে সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন সহ বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনগুলো সমাবেশের ডাক দিয়েছিল তিন তালাক নিয়ে কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্স জারি রাজ্যের ইমাম-মোয়াজ্জিনদের ভাতা বৃদ্ধি,আনএডেড মাদ্রাসাগুলোর স্বীকৃতি ইত্যাদি বিষয়কে সামনে রেখে। কিন্তু তাঁদের সেই সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি লালবাজার পুলিশ। পুজোর মুখে একই দিনে দুটি বৃহত্তর সমাবেশে শহরের জানযটের সমস্যা এড়াতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কোলকাতা পুলিশের তরফ থেকে। তবে পুলিশের এই সিদ্ধান্তে ঘোর আপত্তি জানিয়েছেন যুব ফেডারেশনের শীর্ষ কর্তা মহম্মদ কামরুজ্জামান। তাঁর দাবী, বুধবারে অর্থাৎ ৩ অক্টোবর সমাবেশের কথা জানিয়ে সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখ চিঠি দেওয়া হয়েছিল লালবাজারে। পুলিশের তরফ থেকে মৌখিক অনুমতি পেয়েই জেলায় জেলায় সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়েছেন তাঁরা। সমাবেশের জন্য বহু গাড়ি ভাড়াও নেওয়া হয়ে গিয়েছে। এখন সমাবেশ করার দিন দুয়েক আগে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অনুরোধ করেছেন পুজোর মুখে এই ধরণের সমাবেশ না করতে। তারপর পুলিশের তরফ থেকে ফতোয়া জারি করে জানানো হয়েছে নির্ধারিত দিনে সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের কোনো সমাবেশ করা যাবে না। রাজ্যসরকারের এই দ্বিচারী আচরণে রীতিমতো ক্ষুব্ধ সংখ্যালঘুরা। তাঁদের প্রতি অবমাননা করা হয়েছে বলেই সরব হয়েছেন তাঁরা। এবং হুঁসিয়ারী দিয়ে এটাও জানিয়েছেন,ওইদিনই অর্থাৎ আগামীকালই নির্ধারিত কর্মসূচি হবে। বিভিন্ন জেলা থেকে কাতারে কাতারে মানুষ আসবে শহরে। পুলিশের ক্ষমতা থাকলে আটকে দেখাক। তবে,বিপিএমও’র তরফ থেকে সংখ্যালঘুদের সমাবেশ নিয়ে কোনো আপত্তি জানানো হয়নি। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এ প্রসঙ্গে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান,পুজোর দু সপ্তাহ আগে সংখ্যালঘুদের এ ধরণের কর্মসূচির জেরে বিজেপিই মাটি শক্ত হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘুদের জন্য এতোকিছু করার পরেও তাঁরা এই কর্মসূচি নেয় আর তার জন্য যদি শহরে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়,তার মাশুল দিতে হবে সংখ্যালঘু সংগঠনকে। সঙ্গে হুমকি দিয়ে এটাও জানালেন,আগামীকালের সংখ্যালঘুদের কর্মসূচি প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে লালবাজার পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কড়া হাতে সংখ্যালঘুদের মিছিলকে প্রতিরোধ করার। পুজোর মুখে শহরে কোনোভাবেই গন্ডোগোল হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করা যাবে না। এদিকে লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি সংখ্যালঘুরা ক্ষেপে গেলে শাসকদলের ভোটব্যাঙ্কে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -