এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে বিজেপির সঙ্গে জোট করছেন সিপিএমের জেলা নেতাও! নতুন সমীকরণের সূচনা?

পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে বিজেপির সঙ্গে জোট করছেন সিপিএমের জেলা নেতাও! নতুন সমীকরণের সূচনা?

এবার বিজেপি-সিপিএম এক ছাতার তলায় এসে ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়ল। এর জেরে পঞ্চায়েত প্রধানের পদটি হাসিল করলেন বিজেপির কল্যাণী মুদি। আর সিপিএমের একমাত্র জয়ী সদস্য মহাশিস মাহাত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হলেন। মহাশিসবাবু সিটুর জেলা সম্পাদক তথা পার্টির জেলা সম্পাদকও।

ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজপি-সিপিএমের সন্ধির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে। এমনকি সিপিএম ও বিজেপির এই সমঝোতা নিয়ে এর আগে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অভিযোগ তুলেছেন। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব দাবী করেছেন, মানিকপাড়া পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের মধ্যে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দাবীকেই মান্যতা দিল বাম-বিজেপি। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্থানীয় মহলে।

জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১৫ টি আসনের মধ্যে সাতটি করে আসন পেয়েছে তৃণমূল ও বিজেপি উভয় দলই। আর সিপিএম এর ঝুলিতে গিয়েছিল মাত্র একটি আসন। কিন্তু পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পর্বে সিপিএম একমাত্র জয়ী সদস্য বিজেপিকে সমর্থন করে তৃণমূলের বোর্ড গঠনের সমস্ত সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিল।

গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকের সাতমা গ্রাম পঞ্চায়েতেও সিপিএম-বিজেপি হাত ধরাধরি করে বোর্ড গঠন করল। এদিকে বামেরা যেভাবে দলীয় নীতিকে আমান্য করে গেরুয়া শিবিরকে সমর্থন করছে তাতে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে আলিমুদ্দিন কর্তারা। এ নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে দফায় দফায় প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সিপিএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর এক সদস্য এ প্রসঙ্গে জানান, দলের প্রতীকে জেতা সদস্যদের পার্টির নির্দেশ মেনে চলতেই হবে। তবে, এ ব্যাপারে সাফাই দিয়ে মহাশিসবাবু জানিয়েছেন, দুর্নীতিমুক্ত বোর্ড গঠন করার লক্ষ্যেই একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে অন্য জনপ্রতিনিধিকে সমর্থন করেছেন তিনি। পাশাপাশি যুক্তিতে এটাও জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত অফিসের ভেতরে কোনো দল থাকে না – সবাই তখন জনপ্রতিনিধি।

তাঁর আরো দাবি, মানিকপাড়ার মানুষর ভাবাবেগকে মর্যাদা দিয়েই তিনি লড়াই করে বিজেপি তৃণমূলকে হারিয়েছেন। বিজেপির সঙ্গে আপস করেননি। দলের নির্দেশ অনুযায়ী ভবিষ্যতেও করবেন না বলেই আশ্বাস দিলেন মহাশিসবাবু। অন্যদিকে, সিপিএমের জেলা সম্পাদক পুলিনবিহারী বাস্কে বলেন, ‘কয়েকটি জায়গায় এরকম হয়েছে, আমরা খোঁজ নিয়েছি। যেখানে এরকম ঘটনা ঘটেছে সেখানকার নেতাদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে। কী হয়েছে দেখে আমরা দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেব’।

এ প্রসঙ্গে, জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদা জানান, বাম-বিজেপির রমরমা চলছে এলাকায়। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে পরস্পর পরস্পরকে সমর্থন করে সেটাই প্রমাণ করেছে তারা। তবে সিপিএমের কোনো সংগঠন নেই, নিরুপায় হয়েই তারা বিজেপিকে সমর্থন করেছে বলেই জানালেন সুকুমার বাবু। কিন্তু যেভাবে পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়তে ও তৃণমূলকে আটকাতে সিপিএমের নীচুতলার নেতা-কর্মীরা গেরুয়া শিবিরের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞই। তাঁদের ধারণা এই প্রবণতা যদি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও বজায় থাকে, তাহলে কিন্তু অনেক সমীকরণই বদলে যেতে পারে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!