এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > উত্তর মালদার বেশকিছু বুথে পুননির্বাচন চাইল বাম-কংগ্রেস, দক্ষিণ মালদা নিয়ে সবাই চুপ

উত্তর মালদার বেশকিছু বুথে পুননির্বাচন চাইল বাম-কংগ্রেস, দক্ষিণ মালদা নিয়ে সবাই চুপ


গত মঙ্গলবারই তৃতীয় দফার ভোটপর্ব সম্পন্ন হয়েছে। মোটের উপর রাজ্যের যে সমস্ত লোকসভা কেন্দ্রে এই তৃতীয় দফায় ভোট হয়েছে সেখানে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে বলেই প্রায় স্বীকার করে নিয়েছেন সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরাই। সেইমতো গন্ডগোলের আশঙ্কা হতে পারে বলে সব মহল থেকে মনে করা হলেও সেইভাবে মালদহের দুটি লোকসভা কেন্দ্র উত্তর ও দক্ষিণ মালদহে দু একটি ঘটনা ছাড়া তেমন কোনো বিক্ষিপ্ত অশান্তির সম্মুখীন হতে হয়নি। তবে দক্ষিন মালদহে ভোট নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো অভিযোগ না থাকলেও এবার উত্তর মালদহের বেশকিছু বুথে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানাল কংগ্রেস।

সূত্রের খবর, এদিন বিকেলে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উত্তর মালদহের যে সমস্ত বুথে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয় তার মধ্যে রতুয়ার 18 টি এবং চাচলের দুটি বুথ রয়েছে। জানা গেছে, বুধবার দুপুরে মালদহ জেলা কংগ্রেসের দপ্তরে একটি সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটলুটের অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বেশিরভাগ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছিল। আমাদের দাবি মেনে পুলিশ সুপারের অপসারণও হয়েছে। কিন্তু তারপরেও কিছু এলাকায় তৃণমূলের ঠ্যাঙ্গারে বাহিনী দাপিয়ে বেড়িয়েছে। তাই আমরা বেশ কিছু বুথে পুনঃনির্বাচনের দাবি তুলেছি।” তবে শুধু কংগ্রেস নয়, এদিন উত্তর মালদহের 26 টি বুথের পুনঃনির্বাচন চেয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দেন মালদহ জেলা সিপিএমের সম্পাদক অমর মিত্রও।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “রতুয়ার বাহারাল, সামসি এবং চাচোলের খরবা পঞ্চায়েতের 26 টি বুথে আমরা পুনর্নির্বাচন চেয়েছি। কেননা ওই সমস্ত বুথে কার্যত পঞ্চায়েতের মতই ভোট হয়েছে। আমরা চাই পুনঃনির্বাচনের সময় যাতে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে।” কিন্তু উত্তর মালদহে এই ব্যাপারে বাম এবং কংগ্রেস পুনর্নির্বাচনের দাবি তুললেও এই ব্যাপারে অবশ্য কিছু বলতে নারাজ গেরুয়া শিবির।

কিন্তু উত্তর মালদহের কিছু বুথে বিরোধীরা পুনঃনির্বাচনের দাবি তুলেছে ঠিকই, তবে দক্ষিণ মালদহের কোন বুথেই কোনো রাজনৈতিক দলের তরফেই পুনর্নির্বাচনের জন্য কোনো দাবি জানানো হয়নি। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা বিজেপির সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র বলেন, “উত্তর মালদহের যেসব বুথে কংগ্রেস এবং সিপিএম পুনঃনির্বাচন চেয়েছে সেগুলির কোনোটিতেই আমাদের এজেন্ট ছিল না। তাই কি হয়েছে আমরা দেখিনি।আর তাই সেখানে পুনর্নির্বাচনের দাবিও আমরা তুলছি না।”

অন্যদিকে বিরোধীরা যে সমস্ত বুথে পুনঃনির্বাচনের দাবি তুলেছে, সেই ব্যাপারে বিরোধীদের কিছুটা খোঁচা দিয়েছে শাসক দল। এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি সুমালা আগরওয়াল বলেন, “আমরা আমাদের সাফল্য সম্পর্কে নিশ্চিত। আসলে বিরোধীরা হেরে যাওয়ার আতঙ্কেই পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলছে।”

সব মিলিয়ে এবার মালদহ জেলার উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের গুটিকয়েক বুথে বাম এবং কংগ্রেসের তরফে পুনঃনির্বাচনের দাবি তোলা হলেও দক্ষিণ মালদহে কোনো দলের পক্ষ থেকেই কোনো অভিযোগ না হওয়ায় এই গোটা বিষয়টিকে ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই দাবি করতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!