এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কৈলাশের কথাতেই ‘প্রমান’ সিবিআই-ইডির উপর বিজেপির নিয়ন্ত্রণ! ঝড় তুলতে চলেছে বাম-কং

কৈলাশের কথাতেই ‘প্রমান’ সিবিআই-ইডির উপর বিজেপির নিয়ন্ত্রণ! ঝড় তুলতে চলেছে বাম-কং

বর্তমানে, কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার আর সিবিআই এর মধ্যে রীতিমতো ‘চোর-পুলিশ’ খেলা চলছে বলে অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। রাজীব কুমার-এর উপর থেকে হাইকোর্টের রক্ষাকবচ উঠে যাওয়ার পরেই সিবিআই তাঁকে তলব করেছিল হাজিরা দেওয়ার জন্য। কিন্তু রাজীব কুমার সেই তলবে সাড়া দেননি। উপরন্তু তিনি সম্পূর্ণরূপে উধাও হয়ে যান। সিবিআই তাঁর খোঁজে বাড়িতেও যায়। কিন্তু সেখানেও দেখা মেলে না তাঁর।

পরিবর্তে সিবিআই-এর কাছে রাজীব কুমারের একটি ইমেইল এসে পৌঁছায়। যেখানে রাজীব কুমার স্ত্রীর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে একমাস সময় চেয়েছেন। যা দিতে একান্তই নারাজ সিবিআই। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআই রাজীব কুমারের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। নিতে চলেছে কড়া পদক্ষেপ। এরই মাঝে বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কথায় উঠেছে রাজনৈতিক ঝড়। পরপর দুদিন তার মন্তব্যে কৈলাস বিজয়বর্গীয় যা বলেছেন – তা নিয়ে রীতিমত ঝড় তুলে দিয়েছে বামফ্রন্ট-কংগ্রেস।

কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র বক্তব্য, “রাজীব কুমারকে সিবিআই ডেকে পাঠিয়েছে। তিনি মুখ খুললে তৃণমূলের অনেক নেতা মন্ত্রী বিপদে পড়বেন। এখন বাঁচার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।” প্রধানমন্ত্রীর সাথে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুমুল আক্রমণ শুরু করেছে। কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের মন্তব্যের পর তাঁদের আক্রমণের নিশানা হয়েছে বিজেপি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁদের মতে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি তাঁদের মন্তব্যে বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে তাঁরা সিবিআই ও ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে সম্পূর্ণ নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন করে রেখেছে। এ বিষয়ে কংগ্রেস বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোন গড়াপেটা করতে গিয়েছেন কিনা, সেই প্রশ্ন আমরা তুলেছি। কিন্তু বিজেপি নেতা বিজয়বর্গীয়ের এই কথা বলার মানে কি ? উনি স্পষ্ট করে দিলেন, আমরা বারবার যে কথা বলে আসছি, সেটাই ঠিক! সিবিআই, ইডি-কে ব্যবহার করে বিজেপি পি চিদাম্বরমের মত বিরোধীদের হয়রান করে আর তাদের কাছে গেলে বাঁচানোর রাস্তাও করে দেয়!”

অন্যদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন তার বক্তব্য। তিনি বলেছেন, “বিজেপি নেতারা নিজেরাই বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তারা ‘সেটিং’ এর অঙ্গ! এর পরেও মানুষ কেন বিজেপিকে বিশ্বাস করবে?” এ প্রসঙ্গে রাজ্যের তৃণমূল নেতা তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এর বক্তব্য তুলে ধরে প্রশ্ন তুলেছেন, “বিজয়বর্গীয় কোন সরকারি পদে নেই। তা সত্ত্বেও মধ্যপ্রদেশ থেকে এসে তিনি সিবিআই তদন্ত নিয়ে মন্তব্য করে যাচ্ছেন। এতেই বোঝা যাচ্ছে, সিবিআই বিজেপির হাতে রাজনৈতিক যন্ত্র!”

তবে এই ঘটনায় বিজেপির তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত কোন মন্তব্য করা হয়নি। কৈলাস বিজয়বর্গীয় নিজেও আত্মপক্ষ সমর্থনে কোনো মন্তব্য করেননি এখনো পর্যন্ত। তবে বিরোধীদের নানান অভিযোগ ও মন্তব্যের পরে আগামী দিনে বিজেপি শিবির অথবা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অভিযোগ খন্ডাতে কোন বক্তব্য পেশ করেন তার দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। তবে, বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতার মন্তব্যকেই এবার – ‘প্রমান’ হিসাবে মানুষের সামনে তুলে ধরবে বামফ্রন্ট-কংগ্রেস নেতারা বলেই মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!