বাম-কংগ্রেস জোট আরও মজবুত করতে উপনির্বাচন ঘিরে একাধিক বড়সড় পদক্ষেপ দুই শিবিরের কলকাতা রাজ্য November 3, 2019 প্রথম এবং শেষ 2016 সালে বাম-কংগ্রেসের জোট প্রত্যক্ষ করেছিল রাজ্যের মানুষ। তারপর দুই দলের পক্ষ থেকে জোটের কথা শোনা গেলেও সেই ভাবে সেই জোট পর্ব সম্পন্ন হয়নি। তবে কিছুদিন আগেই নিজেদের মধ্যে এই জোটের ব্যাপারটি চূড়ান্ত করে নিয়ে তা প্রকাশ্যে এনেছেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিট এবং বিধান ভবনের নেতারা। কিন্তু নিচুতলার দুই দলের নেতাকর্মীরাই এই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত ধন্দে রয়েছেন। অনেকের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় চেপে থাকায় নিচুতলায় আদৌ সম্ভব হবে কি না! তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তবে জোটের বার্তাটি যাতে দুই দলের পক্ষ থেকেই ভালোভাবে দেওয়া যায়, তার জন্য এবার বাম এবং কংগ্রেস প্রথম সারির নেতারা একসঙ্গে এক মঞ্চে হাজির হতে চলেছেন। সূত্রের খবর, নির্বাচনী প্রচারে দুই দলের শীর্ষ নেতারা একসাথে ময়দানে নামতে পারেন।শুধু তাই নয়, তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলকে চাপে রাখতে মনোনয়নপত্র পেশের ক্ষেত্রেও যাতে নিজেদের মধ্যে ঐক্যের ব্যাপারটিকে তুলে ধরা যায়, তা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে সোমেন মিত্র-বিমান বসুরা। ইতিমধ্যেই রাজ্যের তিন কেন্দ্র কালিয়াগঞ্জ, খড়গপুর এবং করিমপুরের বাম এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব এনিয়ে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে। যার ফলে জোটের ব্যাপারটিকে পাকাপাকি ভাবে উপস্থাপিত করা যায় জনমানসে বলে মত বিশ্লেষকদের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, আগামীকাল খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী চিত্তরঞ্জন মন্ডলের মনোনয়নপত্র পেশ হবে। আর এই মনোনয়নপত্র পেশের সময় দুই দলের শীর্ষ নেতারা এখানে থেকে একদিকে তৃণমূল এবং বিজেপিকে বার্তা দেওয়া এবং অন্যদিকে নিচুতলার নেতাকর্মীদের জোট সম্পর্কে যাতে বার্তা দিতে পারে, তার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কালিয়াগঞ্জ এবং করিমপুরেও একই পন্থা অবলম্বন করতে চলেছেন বাম-কংগ্রেস নেতারা। জানা গেছে, সিপিএমের তরফে বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী সহ একাধিক নেতারা যেমন কংগ্রেসের প্রার্থীর জায়গায় প্রচার করবেন, ঠিক তেমনই কংগ্রেসের তরফে সোমেন মিত্র, প্রদীপ ভট্টাচার্য, মনোজ চক্রবর্তী, শঙ্কর মালাকার দীপা দাশমুন্সি সহ অন্যান্য নেতারা বামেদের সঙ্গে তাদের মঞ্চ ভাগ করে নেবেন। আর এইসব দেখেই রাজনৈতিক মহল একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গেছে যে, এবার তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে নিজেদের লড়াই সর্ব মাত্রায় দিয়ে দুইদল একসাথে ময়দানে ঝাঁপাতে চাইছে। কিন্তু এতসব করেও শেষ পর্যন্ত তিন বিধানসভা উপনির্বাচনে বাম এবং কংগ্রেস ঠিক কতটা সাফল্য পায়, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -